ইউজিসির সামনে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অবস্থান, অনশনের হুঁশিয়ারি

নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি যুক্ত করার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীরা। সোমরাব (১৯ এপ্রিল) দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. ফখরুল হাসান ফয়সাল।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুটি বাসে করে গাজীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে ইউজিসিতে এসে পৌঁছান তারা। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। দাবি মানা না হলে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মো. ফখরুল হাসান ফয়সাল বলেন, ‘আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না। আমাদের অবস্থান কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য। এমনকি রাতে আমরা অনশনের দিকেও যেতে পারি।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েছে। তারা সমস্যার কোনও সমাধান কননি। সমস্যার কথা সরকার ও ইউজিসি সবাই জানে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নাম পরিবর্তনের আগেই বাংলাদেশ শব্দটি যুক্ত করার প্রস্তাব দিচ্ছেন তারা। অথচ দাবিগুলো মানা হচ্ছে না। তাই তারা বাধ্য হয়ে ইউজিসিতে অবস্থান নিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম সাধারণত দেশের নাম অনুযায়ী হয়।
যেমন—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। শেষ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও একই অধ্যাদেশের আওতায় পরিবর্তিত হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের জন্য চারটি নাম প্রস্তাব করেছেন।
নামগুলো হলো, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাদের। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামই দেখা যাচ্ছে।