ঢাকা শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


হলের কক্ষে সাদামাটা জীবন ছাত্রলীগ সা.সম্পাদকের,উচ্ছাসিত শিক্ষার্থীরা!


৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:০২

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৪১

হলের কক্ষে সাদামাটা জীবন ছাত্রলীগ সা.সম্পাদকের,  উচ্ছাসিত শিক্ষার্থীরা!

২০০৭-২০০৮ সেশনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এমফিল ভর্তি হওয়ায় তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে বরাদ্দ পান।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে উপলক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুরোধে নতুন করে করে হলে ওঠেন তিনি।এতে ব্যাপক উচ্ছাসিত হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা!

। গত ৩১ জুলাই তাকে সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার অনেক আগ থেকেই তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের
 কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় মানবতা ফেরিওয়ালা উপাধি পান গোলাম রাব্বানী। নেতা হওয়ার পূর্বে তিনি পরিবার সাথেই থাকতেন, শিক্ষার্থীদের অনুরোধে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় হলে ওঠেন আরাম আয়েস জীপন ছেড়ে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, গোলাম রাব্বানী জিএস প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই হলেই থাকছেন। সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ২০৯ নম্বর কক্ষে থাকেন তিনি। কক্ষটি এক সিটের (সিঙ্গেল রুম)। কক্ষে ঢুকতেই চোখে পড়ে দেয়ালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।


কক্ষে আসবাবপত্র বলতে দুটি তোষক , একটিত তোষকে গোলাম রাব্বানী এবং অন্য তোষকে আরো দুজন মোট তিনজন শিক্ষার্থী থাকেন, এছাড়া আরো রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক পাখা, একটি টিউব লাইট, দেয়ালে সঙ্গে থাকা লকার । কক্ষের ভেতরের পরিবেশ সাদামাটা ও অনাড়ম্বর। আলাদা করে তেমন কোনো বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে না। কক্ষটি এখন পরিচিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক কক্ষ হিসেবে।


আরো জানান,গোলাম রাব্বানী বিনয়ী ও সদালাপী। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ অনেক নেতা-কর্মী ও দর্শনার্থী সংগঠন এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে আসেন। মনোযোগ দিয়ে তিনি তাদের কথা শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। বিশ্ববিদ্যালয় সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী আচার-আচরণের জন্য ইতোমধ্যে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাতিসহ অনেক প্রশংসা অর্জন করেছেন।


দল মত নির্বিশেষে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে তার অকৃত্রিম দরদ ও ভালবাসা। পরিশ্রম, বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার কারণেও তিনি সুনাম অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি সংগঠনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।


সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ধরণের নেতিবাচক ধারণা আছে। কেউ কেউ এও মনে করেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী খুব আরাম-আয়েশে দিন কাটান। কিন্তু এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ভ্রান্ত ধারণা। রাব্বানী ভাইকে কেউ যদি কাছ থেকে দেখেন তাহলে তার এ ধরণের ভ্রান্ত ধারণা দূর হয়ে যাবে। ডাকসু কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার পর রাব্বানী ভাই হলে থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ সময় হলেই খাওয়া-দাওয়া করছেন। প্রতিদিন অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী - নেতা-কর্মীর কথা ধৈর্য ধরে শুনছেন, নিজে কথা বলছেন।হলের ক্যান্টিনের খাবারের মানসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য একের পর এক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সাদেকুল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আগে ছাত্রলীগ শীর্ষ নেতাদের মনে হদুর্লভ বস্তু একসাথে থাকা তো দূরের কথা , কাছে যাওয়ার সহস পেতাম না, এখন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাই আমাদের কাছে আসেন আমাদের খোজঁ খরব নেন এটা যেন আকা্শে চাঁদ হাতে মুঠোয় ইচ্ছাকৃতভাবে ধরা দেওয়া।
রাব্বানী ভাই হলে থাকায় সবাই অনেক আনন্দিত , এ শিক্ষার্থী আরো বলেন রাব্বানী ভাইকে আমি ব্যক্তিগ ডাকসুর নেতা হিসাবে দেখতে চাই।

“যেকারণে হলে থাকেন গোলাম রাব্বানী”


এদিকে হলে থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রথম আমি পারিবারিকভাবে খুব আরাম আয়েশ জীবনযাপন করতে পারি কিন্ত সেটা না করে কেন হলে থাকি এবং মানবিক জীবনযাপন করছি! আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমি ছাত্রনেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝতে হলে তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে গেলে আগে তাদের মত জীবনযাপন করতে হবে। এছাড়াও আমি যদতি ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে চাই এবং ছাত্রদের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে চাই। আমি যদি বাইরে থাকি, আরাম আয়েশ জীবনযাপন করি তাহলে ছাত্রদের কষ্ট অনুধাবন করা কঠিন হয়ে পড়বে ,তাহলে আমার সঙ্গে ছাত্রদের একটা দূরত্ব তৈরি হবে। আমি যদি ক্যাম্পাসে থাকি, সবসময় চলাফেরা করি, সব ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলি এবং তাদের ভালমন্দ খোজ খবর নেই ,তাহলে আমাদের মধ্যে একটা পারস্পরিক বন্ধন তৈরি হবে। ক্যাম্পাসে থাকলে স্বভাবতই সবার সাথে দেখা হয়। আমিতো ছাত্র-মানুষ, আমার চালচলন, চলাফেরা যদি সবসময় একজন ছাত্রের মতো থাকে তাহলে অন্য ছাত্ররা আমাকে মানবে ও সম্মান দেখাবে।