ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


ঢাবির হলে বহিরাগত তাড়াতে গিয়ে দুগ্রুপের মারামারি


৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১২:৩৭

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ১৮:৫৮

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে বহিরাগত তাড়াতে গিয়ে হল সংসদের দুগ্রæপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে সুজন (৩০) নামের এক বহিরাগত রক্তাক্ত হয়েছেন। শনিবার বিকালে এসএম হলের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম বøকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ১৫২ নং কক্ষে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও হল ইউনিয়নের সমাজসেবা সম্পাদক খান মিলন হোসাইন নীরবের মদদে সুজন (৩০) নামে এক ব্যক্তি প্রায় তিন বছর ধরে অবৈধভাবে থাকছেন। ৮ জনের ওই কক্ষটিতে তারা দুজনই থাকেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এসএম হলে আবাসন সংকটের কারণে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও গণরুম ও বারান্দায় থাকেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজারের নেতৃত্বে ওই কক্ষে উচ্ছেদ অভিযান চালান।
জানা যায়, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সুজনকে রুমে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তার মুখ রক্তাক্ত হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা তার বিছানাপত্র রুম থেকে বের করে দেন। পরে খবর পেয়ে মিলন ছাত্রলীগের খুলনা অঞ্চলের নেতাকর্মীদের ডেকে লাঠিসোটা ও রড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন। এক পর্যায়ে উভয় গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হট্টগোল শুনে তাৎক্ষণিকভাবে এসএম হলের ভিপি এমএম কামাল উদ্দিন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা তাহসান আহমেদ রাসেল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে হাউস টিউটররা এসে বহিরাগত সুজনকে হল থেকে বের হয়ে যেতে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে এসএম হলের জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে একজনকে ধরেছি। এর নামে অভিযোগ, সে সমাজসেবা সম্পাদক মিলন খানকে টাকা দিয়ে ভাড়া থাকে। অন্যদিকে সুজন বলেন, আমার বাড়ি পটুয়াখালী গলাচিপায়। আমি বাড়িতেই থাকি। মাঝে মধ্যে এখানে মিলনের রুমে থাকি। তবে তার পেশা কী বা কেথায় পড়াশোনা করেন এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে জানতে হলের ভিপি কামাল উদ্দিনকে ফোন করা হলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এসএম হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক সাব্বির রহমান বলেন, বিষয়টি আপাতত সমাধান হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।