সিজিএস ’র আয়োজনে ঢাকায় শুরু হচ্ছে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫ চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২২ থেকে ২৪ নভেম্বর ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার ২৪ নভেম্বর সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ আয়োজন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসময় আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এর সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, এবার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
জিল্লুর রহমান বলেন, সবাই একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন অংশীদারত্বের উদ্ভব ঘটেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি ও প্রযুক্তির এই সময়ে বঙ্গীয় এই অঞ্চল এখন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে।
সিজিএসের সভাপতি আরও বলেন, এসব পরিবর্তনের ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হবে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের জন্য সামনে কী রয়েছে, তা এই সম্মেলনের আলোচনায় উঠে আসবে।

এবারের সম্মেলনে পাঁচটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ করিম আব্বাসী। তিনি বলেন, এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় ভূরাজনৈতিক সম্মেলন।
এবারের বিষয়গুলো হচ্ছে—পরিবর্তিত জোট ও ক্ষমতার নতুন কাঠামো; বহুমাত্রিক সংকট: যুদ্ধ, ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার সমাপ্তি; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভুয়া তথ্যের হুমকি; নিষেধাজ্ঞা ও ঋণের যুগে অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস এবং জলবায়ু সীমান্ত, অভিবাসন ও নিরাপত্তা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিজিএস’এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সুবীর দাস, চিফ অব স্টাফ দীপাঞ্জলী রায় এবং সিজিএস’এর অন্যান্য সদস্যরা।
সম্মেলনের আলোচনার বিষয়বস্তু, সময়সূচী ও আলোচকদের তালিকা সমৃদ্ধ বুকলেট বিওবিসি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://bayofbengalconversation.cgs-bd.com/-এ পাওয়া যাবে, আগ্রহীরা সেখান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেবেন ৮৫টি দেশের ২০০ জন আলোচক, ৩০০ জন ডেলিগেট এবং এক হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী। অতিথিদের তালিকায় থাকছেন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রী, কূটনীতিক, সামরিক বিশেষজ্ঞ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
