ভীড়ে নয়,নীড়ে হোক বৈশাখী আনন্দ.....

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস এক সংগ্রামের ইতিহাস। এক ধর্মনিরপেক্ষ সম্প্রীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, যা আমাদেরই আছে।
মুক্তিযুদ্ধের মূল দর্শন ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও অর্থনৈতিক সাম্যের দেশ গড়া।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে- ততদিন এই নববর্ষের সম্প্রীতির এই আয়োজন থাকবে। আনন্দ উৎসব থাকবে, বৈশাখী মেলা থাকবে, মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে। এটাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
বাঙ্গালির যে কোন উৎসব জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পালন করতে হবে। যেসব বাঙ্গালী মুসলমানরা পহেলা বৈশাখ পালন করতে চান বা বর্ষবরণে অন্য ধর্মের গন্ধ পান তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, একটি জাতি তার সংস্কৃতি ছাড়া বাঁচতে পারেনা। আর ধর্ম সংস্কৃতির একটি অংশ। সুতরাং ধর্মীয় গোড়ামী থেকে বের হয়ে আসুন। নিজের সংস্কৃতির চর্চা করুন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে কোন আপোষ নয়।
সুতরাং ধর্মকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক শক্তি সম্প্রীতির মেলবন্ধনে বিভাজন টানতে চাইলে সেটি এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না। একাত্তরে নয়, এখনও নয়........
শুভ নববর্ষ -১৪২৮
লেখক: উপ-তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ