ঢাকা সোমবার, ১৪ই জুলাই ২০২৫, ৩০শে আষাঢ় ১৪৩২


অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট


প্রকাশিত:
১৩ জুলাই ২০২৫ ১৭:০৭

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান গত মাসে জায়ানবাদী ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হন বলে জানিয়েছে ইরানের আধাসরকারি সংবাদ সংস্থা ফারস। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ জুন পশ্চিম ইরানের এক ভবনে আয়োজিত সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে এ হামলা চালানো হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইসরায়েলি জেট বিমানের ছয়টি বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র ভবনের দরজা ও জানালায় আঘাত হানে। এতে ভবনের ভেতরে থাকা কর্মকর্তারা গুরুতর বিপদের মধ্যে পড়ে যান। যদিও বৈঠকে উপস্থিত রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যেমন পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের ঘালিবাফ ও বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম-হোসেইন মোহসেনি-এজেই— জরুরি হ্যাচ ব্যবহার করে বের হয়ে আসেন। বের হওয়ার সময় পেজেশকিয়ানসহ কয়েকজনের পায়ে আঘাত লাগে।

এ ঘটনার বিষয়ে সম্প্রতি মার্কিন উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, তারা আমাদের বৈঠকের অবস্থান জেনে সেখানে বোমা মেরেছিল। তাদের কাছে গুপ্তচরের মাধ্যমে আগেই তথ্য ছিল।

এদিকে ইসরায়েলি হামলায় নির্ভুলভাবে অবস্থান শনাক্তের বিষয়টি সামনে আসার পর ইরানের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ সন্দেহ করছে, হামলার তথ্য ফাঁস হয়েছে ভেতর থেকেই।

এর আগে ইরান ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছিল, তেহরানের পশ্চিমাংশে শাহরাক-ই ঘার্ব এলাকায় ১৬ জুন একটি ইসরায়েলি হামলা হয়েছিল। তবে সুনির্দিষ্ট অবস্থান এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা মহসেন রেজায়ি জানিয়েছেন, ইসরায়েল সত্যিই কাউন্সিল বৈঠকের স্থানে হামলা চালিয়েছিল, তবে কাউন্সিলের কেউ মারাত্মকভাবে আহত হননি।

গত জুনে ইরানের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোয় হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসি প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রধান জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহ ও সশস্ত্র বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হন।

তবে ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল না রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, এই যুদ্ধে আমাদের লক্ষ্য ছিল না শাসনব্যবস্থা বদলানো।

জবাবে ইরানও ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। প্রায় ৫০০ ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ১১০০ ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে তারা। এতে ইসরায়েলে ২৮ জন নিহত ও ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হন।

এ উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা বাতিল করেন। ইসরায়েলও বলেছে, তারা জানত না খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল