ঢাকা রবিবার, ১৩ই জুলাই ২০২৫, ২৯শে আষাঢ় ১৪৩২


শরীয়তপুরের সখিপুরে মাদ্রাসায় পড়া না পারায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করলেন শিক্ষক কামরুজ্জামান


প্রকাশিত:
১৩ জুলাই ২০২৫ ০০:৩৬

ছবি- আমাদের দিন

শরীয়তপুরে মাদ্রাসায় পড়া না পারায় শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো: কামরুজ্জামান। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার সখিপুর থানার চরভাগা ছবরিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায়।

গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকাল তিনটায় পড়া না পারার কারণে হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন (১২) কে শিক্ষক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে শিক্ষক মো: কামরুজ্জামান। পিটিয়ে রক্তাক্ত করা শিক্ষার্থীদের শরীরে তীব্র ব্যথা, জ্বর ও অসহ্য যন্ত্রণা এখনো যায়নি। শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ পূর্বে এরকম আরো কয়েকবার পিটিয়ে আহতে করেছেন একই শিক্ষক। পরিবারের লোকেরা তাকে আগেও সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছেন কিন্তু শিক্ষক তা তোয়াক্কাই করেননি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র মো: জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি কল দিয়ে তাকে বলেছিলাম আগে, বাচ্চা অবুঝ মানুষ এভাবে পেটাবেন না। কিন্তু তিনি কোন কর্ণপাত করেনি। আমাকে বলেন ‘"আপনার ভাই পড়া না পারলে মারমু না চুমা দিমু"
এভাবে পেটানোর ফলে আমার ভাই আগেও মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। বুঝিয়ে মাদ্রাসায় দিয়ে আসার পরে আবারো পেটাচ্ছে শিক্ষক কামরুজ্জামান। এবার মাদ্রাসায় কিভাবে দিব? কি বলে বুঝ দিব? যার ভিতরে মনুষত্ব আছে এভাবে পেটাতে পারে? পেটানোর ভয়ে একবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়েছিল। রাত বারোটা বাজেও কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সবাই চিন্তিত ছিল। পরে পাওয়া গেছে। এভাবে যদি কোন একটা এক্সিডেন্ট হয়ে যায়? শিক্ষকদের এই বেপরোয়া মনোভাব কবে ঠিক হবে?’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এক দিন, দুই দিন, তিন দিন, চার দিন কয়দিন সহ্য করা যায়? পড়া না পাড়ায় শাসন করেছি।

পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে এবং তারা প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চেয়েছেন। একই সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এমন ঘটনা যেন অন্য কোন শিক্ষার্থীর সাথে না ঘটে।