ঢাকা মঙ্গলবার, ২০শে মে ২০২৫, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


ভিসি অফিসের পর্দা কিনতে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়


১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৪১

আপডেট:
২০ মে ২০২৫ ১১:২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলামের বিলাসবহুল অফিস কক্ষ সাজাতে ৮৪ লাখের বেশি টাকা খরচ করেছে কর্তৃপক্ষ। পুরো টাকাই নেওয়া হয়েছে সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্স ও স্থানীয়সম্পদ (এলআর) তহবিল থেকে। এই প্রোগামগুলো থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের অর্থ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে- বিশেষ করে, তাদের শিক্ষা-গবেষণা ও বিভাগের কাঠামো উন্নয়নে খরচ করার কথা।

এছাড়া আমদানি করা জানালার পর্দার জন্য ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ইংরেজি দৈনিক দ্যা ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাবি কর্তৃপক্ষ দেশের দুটি জাতীয় দৈনিকে ভিসির অফিস সাজাতে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে অর্থায়ন এজেন্সি হিসেবে ইউজিসির কথা উল্লেখ করা হয়।

তবে ইউজিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইউজিসি এমন কোনো তহবিল বরাদ্দ করেনি এবং ইউজিসির নাম ব্যবহার করে এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা অনুচিত।

জানতে চাইলে ইউজিসির অর্থায়ন ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শাহ আলম জানান, আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন জাবি ভিসির অফিস সাজাতে ইউজিসি কোনো ধরনের তহবিল বরাদ্দ করেনি।

তিনি আরও জানান, তারা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যবহার করতে পারে। তবে ইউজিসির নাম ব্যবহার করে পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা একটি অনৈতিক কাজ, কারণ ইউজিসি এজন্য কোনো তহবিল বরাদ্দ করেনি।

জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে জাবি কর্তৃপক্ষ ভিসির অফিস পরিবর্তন ও সংস্কারের জন্য ইউজিসির কাছে ৮০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলো।

কিন্তু ইউজিসির কোনো প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চলতি বছরের জানুয়ারিতে তারা টেন্ডার প্রকাশ করে এবং মার্চে দুইটি তহবিল থেকে জাবি কর্তৃপক্ষ ৮৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্স থেকে ৫৬ লাখ ৯৫ হাজার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয়সম্পদ তহবিল থেকে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে।

জাবির নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী, সান্ধ্যকালীন এমবিএ কোর্স থেকে আয়ের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টাকা ছাত্রদের কল্যাণ, গবেষণা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।

জাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা গত বছরের নভেম্বরে ভিসি অফিস সাজানোর বরাদ্দ চেয়ে ইউজিসির কাছে চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি।