ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে একটি মূল্যায়ন

বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কর্মসূচি নিয়ে বইমেলায় জবি প্রক্টর মোস্তফা কামাল


৩ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৪৭

আপডেট:
৩ এপ্রিল ২০২১ ১৭:৫৬

অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রক্টর ইসলামে স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালের প্রথম বই বঙ্গবন্ধুর বাকশাল কর্মসূচি-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে একটি মূল্যায়ন'বইটির গতকাল শুক্রবার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।বইটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরে পাওয়া যাবে।
 
ইসলামের আলোকে লেখা বাকশাল সম্পর্কিত তথ্যবহুল বইটিতে গবেষণা লব্ধ তথ্যে-উপাত্তে সমৃদ্ধ ও অনন্য। বইটিতে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর স্বদেশ নির্মাণের সময়টুকু নিয়ে মিথ্যে তথ্যের ধূম্রজালে নির্ঝঞ্ঝাট সত্যগুলো ইসলামের আলোকে বিশ্লেষণ রয়েছে।
১৯৭১ সালে রাজনৈতিক স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির বিপ্লবের জন্য তিনি বাকশাল গঠন করলেন, দেশের বিদ্যমান আইন ও সংবিধানের বিধি মেনে। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় বঙ্গবন্ধু তার দ্বিতীয় বিপ্লবের বেশ কিছু স্বল্পকালীন ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন।
বইটির আলোকে সেগুলো হল- উপকারের কৃতজ্ঞতা স্বীকার, প্রতিশ্রুতি পালন, বন্ধুত্বমূলক পররাষ্ট্র সম্পর্ক, অন্যকে সম্মান দেখানো, নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন, পরকালে মহান আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার মনোভাব, মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন, দুর্নীতি বন্ধ করা, সর্বদা সত্য বলা ও মিথ্যা পরিত্যাগ করা, অন্যায় ও হারাম পথে সম্পদ অর্জনের প্রতিবাদ, অবৈধ পন্থায় উপার্জন নিষিদ্ধকরণ, মজলুমকে সহায়তা প্রদান ও অত্যাচারীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, আবাদযোগ্য জমির যথাযথ ব্যবহার, ভিক্ষাবৃত্তির মূলোৎপাটন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান, আত্মশুদ্ধি অর্জন, নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদান, মদপান থেকে দূরে থাকা, নারীর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন, শ্রমিকদের দায়িত্ব কর্তব্য পালন ও তাদের অধিকার আদায়, শ্রমিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, দুর্নীতিবাজ খতম করা, কারখানায়-খেতে খামারে প্রোডাকশন বাড়ানো, জাতীয় ঐক্য ও সর্বোপরি আল্লার উপর তাওয়াক্কল করা। যারা দেশকে ভালোবাসে, যারা এসকল আদর্শে বিশ্বাস করে এবং মেনে সৎ পথে চলে তারা সকলেই এই দলের সদস্য হতে পারবেন।
 
যারা বিদেশি এজেন্ট, যারা বহিঃশত্রুর কাছ থেকে পয়সা নেয় এতে তাদের স্থান নেই। সরকারি কর্মচারীরাও এই দলের সদস্য হতে পারবে। কারণ তারাও এই জাতির একটা অংশ। তাদেরও অধিকার থাকবে এই দলের সদস্য হওয়ার। বঙ্গবন্ধু মূলত কোনো সাম্রাজ্যবাদী দেশের প্রেসক্রিপশনে চলার মানুষ ছিলেন না। অর্থনৈতিক এই বিপ্লবটি সফল হলে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তিশালী দেশ হত।
এই বিশাল কর্মোদ্যোগকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।একটু চিন্তা করলেই দেখা যাবে এর পেছনের কারণ গুলো কি?
সুতরাং সুখী সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভর, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রক্টর ইসলামে স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালের এ গবেষণা নিবিড়ভাবে অধ্যয়ন করে তা থেকে অর্জিত শিক্ষা রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।