ঢাকা শুক্রবার, ১০ই মে ২০২৪, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩১


প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নই আমার স্বপ্ন: গোলাম রাব্বানী


১০ মার্চ ২০১৯ ০৬:২০

আপডেট:
১০ মে ২০২৪ ১৬:২৬

গোলাম রাব্বানী

প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নই আমার স্বপ্ন বলে মন্তব্য করেন মানবতা ফেরিওয়ালা খ্যাত ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ থেকে ডাকসুর জিএস পদ প্রার্থী গোলাম রাব্বানী।

তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী হলে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের সব যৌক্তিক দাবির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেন। একইসাথে দৃড়তার সাথে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে করা এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো।
স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাব্বানী বলেন, বিজয়ী হলে সব শিক্ষার্থীর জন্য স্বাস্থ্য বীমা নিশ্চিত, খাবারের মান উন্নয়ন, হলে হলে চিকিৎসক নিয়োগ, সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত শ্রেণীকক্ষ, ডিজিটাল লাইব্রেরি কমপ্লেক্স নির্মাণ, প্রত্যেক হলে ফ্রী ওয়াইফাই জোন চালু করাসহ ঢাবির সব কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া মাদক ও ধূমপান প্রতিরোধ, বিশ্বমানের গবেষণাগার, রিকশা ভাড়া নির্ধারণ, ও যান চলাচল সীমিত করারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি মনে করেন, বর্তমানে ছাত্র শিক্ষকের মধ্যে এক প্রকার সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের ঘাটতি রয়েছে, নির্বাচিত হলে সেটি দূর করে একটি আত্মীক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়াস রাখবেন।
গোলাম রাব্বানী বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর নির্বাচন না হলেও ছাত্রলীগ ডাকসুর ভূমিকাই পালন করে আসছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রায় হবে ছাত্রলীগের পক্ষে। প্রার্থী হিসেবে এ প্যানেলে যারা আছেন, তাদেরই বেছে নেবে ভোটাররা।
রাব্বানী আরো বলেন, ঢাবিতে আবাসন সমস্যাসহ বহু সমস্যা রয়েছে। ছাত্রলীগ এসব সমস্যা সমাধান ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া, সহিংস ছাত্র রাজনীতির ফলে আগে যেখানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হত হরহামেশাই, সেখানে বিগত বছর গুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার কৃতিত্বের কথা দাবি করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছে। অন্যরা ডাকসু নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুত দিচ্ছে, ছাত্রলীগ তার অধিকাংশই সম্পন্ন করে ফেলেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সমস্যা সমাধানে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাব্বানী বলেন, সকল সমস্যার সমাধান তো প্রধানমন্ত্রীই দিতে পারবেন। আর ছাত্রলীগই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যেকোনো সময় দেখা করতে পারে। আমাদের প্রত্যাশা- চটকদার বিজ্ঞাপনে না ভুলে, বাস্তবতার নিরিখে সামর্থ্য রয়েছে এমন প্রার্থীদেরই বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা।