ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ই জুলাই ২০২৫, ৩১শে আষাঢ় ১৪৩২


ঝিনাইগাতীতে পরকীয়া প্রেমিকের ঘরে উঠতে না পেরে তালাক দেয়া স্বামীর নামে গৃহবধূর যৌতুক মামলা


প্রকাশিত:
১৪ জুলাই ২০২৫ ২১:০৪

পরকীয়া প্রেমিকের ঘরে উঠতে না পরে তালাক দেওয়া স্বামীর নামে আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন আইরিন (২২) নামে এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটে সম্প্রতি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দড়িকালিনগর গ্রামে।

ওই গৃহবধূ উপজেলার দড়িকালিনগর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সুমন মিয়ার স্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী গ্রামের আমজাদ মিয়ার কন্যা। জানা গেছে গত ৩ বছর পুর্বে আইরিনের বিয়ে হয় সুমন মিয়ার সাথে। সুমন মিয়া ও আইরিনের ঘর সংসার চলাকালে গত ৩ মাস ধরে আরাফাত নামে এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলে আইরিন । একপর্যায়ে বিষয়টি এলাকাবাসীর জানাজানি হয়ে গেলে সুমন ও আইরিনের সংসারে দেখা দেয় অশান্তি।

এদিকে আরাফাতের সাথে আইরিনের মোবাইলে ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। গত ১৬ জুন সোমবার আরাফাতের সাথে অজানার উদ্যেশ্যে পারি জমাতে গৃহবধূ আইরিন স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আরাফাতে কাছে আসে। কিন্তু আরাফাত আইরিনের সাথে দেখা না করে গা- ঢাকা দেয়। এতে বিপাকে পরে আইরিন। আরাফাতকে খুঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ঝিনাইগাতী বাজারে আইরিনের সাথে দেখা মেলে আইরিনের তাঐ শ্বশুর লাল মিয়ার সাথে। পরে বিস্তারিত জেনে লাল মিয়া আইরিনকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে।

এসময় লাল মিয়া বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আইরিনের জবানবন্দি নেয়। আইরিন পুলিশ কে আরাফাতের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি জানিয়ে তার স্বামী সুমন মিয়ার ঘর সংসার করবেন না বলে জানান। পরে পুলিশের সহায়তায় আইরিনকে তার বাবা আমজাদ মিয়ার হাতে তুলে দেয়া হয় ।

এঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন মিয়া আইরিনকে ঘরে না তুলার ইচ্ছে পোষন করে একতরফা তালাক দেয়। অপরদিকে আরাফাতের সন্ধ্যানও মিলছে না। ফলে পরকীয়া প্রেমিকের ঘরে উঠতে না পেরে একুল ওকুল দু' কুলই হারায় গৃহবধূ আইরিন।

পরে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের উদ্দেশ্যে গৃহবধূ আইরিন বাদি হয়ে গত ২ জুলাই নালিতাবাড়ী সিআর আমলী আদালতে তার তালাক দেয়া স্বামী সুমন মিয়ার নামে যৌতুক ও নারি শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আদালত সুমন মিয়ার নামে সমন জারি করে। ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।