সেই অসহায় মান্নানের পাশে ঢাকা জেলা প্রশাসন

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে অটোরিকশা খোয়ানো সেই অসহায় আবদুল মান্নানের সাহায্যে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। গতকাল দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় ‘করোনা আতঙ্কের মধ্যে প্রতারক-ফাঁদ, অসহায় মান্নান দিশাহারা’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। খবরটি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরে আসে ঢাকা জেলা প্রশাসনের। পরে বিকালে সেই রিকশাচালককে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নগদ ও ত্রাণ সহায়তা করা হয়।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর অরুন কৃষ্ণ পাল আমাদের দিনকে জানান, আমাদের সময়ে প্রকাশিত খবরের পর জেলা প্রশাসক মহোদয় আবদুল মান্নানকে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে বিকালে আবদুল মান্নানের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা, ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু এবং ২ কেজি ডাল সহায়তা করা হয়।
আবদুল মান্নান পেশায় ডায়িং শ্রমিক। থাকেন কাজলা নতুন রাস্তা এলাকায়। ৩ ছেলেমেয়ের সংসার তার। করোনা ভাইরাসের কারণে কয়েকদিন আগে তার ডায়িং ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েন।
ঘরে তার চাল কেনার টাকা ছিল না। তাই মঙ্গলবার তার এলাকার একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে ২০০ টাকা জমায় একটি অটো রিকশা নিয়ে বের হন।
রিকশা নিয়ে বেরিয়ে ৫০ টাকা ভাড়া মারার পরই প্রতারকচক্র প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিয়ে যায় তার অটোরিকশাটি। এতে হতদরিদ্র আবদুল মান্নান উভয় সংকটে পড়েন। কী করে ঘরে থাকা ৩ সন্তানের পেটে আহার জোগাবেন, আর কী করে অটোরিকশার ক্ষতিপূরণ দেবেন এই ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েন।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-২ নম্বর গেটের সামনে থেকে প্রতারকচক্র তার অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। এ ঘটনা নিয়ে গতকাল আমাদের সময়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ঢাকা জেলা প্রশাসন মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়। এখন আবদুল কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
আবদুল মান্নান বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের স্যারদের ধন্যবাদ তারা পত্রিকার খবর দেখে আমার সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন। ধন্যবাদ দৈনিক আমাদের সময়কেও। তারা খবরটি প্রকাশ না করলে আমাকে হয়তো ছেলেমেয়ে নিয়ে কঠিন বিপদের মধ্যে পড়তে হতো। এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি লাগছে। রিকশা খোয়ানোর ক্ষতিপূরণটা হয়তো কিছুটা পোশাতে পারব। আর ছেলেমেয়েদের পেটে কিছুদিন ভাত দিতে পারব।