করোনা ভাইরাস
বেতন ভাতা দিয়ে দুস্থদের পাশে ইউএনও মমতাজ

বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় নাকাল দেশের দুস্থ, অসহায়, দিনমজুর এবং খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতজা বেগম।
তিনি আমাদের দিনকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমার একমাসের ভেতর এবং বৈশাখী ভাতা দান করেছি।সাধ্যমত দেশের দু:সময় দেশের দুস্থ , অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
এদিকে, রূপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে নিজ কর্মগুণে অনেক আগেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন ইউএনও মমতাজ বেগম। সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বভাবের এই কর্মকর্তা ভ্রম্যমান আদালত থেকে শুরু করে সরকার প্রদত্ত সবটুকু দায়িত্বই তিনি নিজের কর্তব্য মনে করে পালন করে ইতোমধ্যে প্রশংসতি হয়েছিলেন। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছেও রয়েছে তার যথেষ্ট কদর।
কোনো সমস্যা নিয়ে তার কাছে কেউ গিয়েছেন আর সেটি করার সাধ্য তার রয়েছে অথচ তিনি সেটি না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন কাউকে, এমন রেকর্ড তার নেই বলেই স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
অফিসের পিয়ন থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারির সাথেও তার সম্পর্কটা অত্যন্ত সুহৃদের মতো। তবে, কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত কঠোর। অবশ্য ধমকিয়ে কাজ আদায় করতে হয় না তার।
বরং প্রতিটি মানুষই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে করোনার এই দুযোর্গে রূপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিরলসভাবে নিজেদের দায়িত্বের বাইরেও অনেক কাজ করে চলেছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র মমতাজ বেগমের আন্তরিকতায়।
অন্যদিকে, করোনার দুর্যোগে অসহায় মানুষের সাহাযার্থে নিজের বেতন ও বৈশাখী উৎসব ভাতা দান করার সংবাদে উপজেলা জুড়ে ব্যাপকল আলোচনা হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষ তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। এমন তথ্য জানার পর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা হয়। তবে, তিনি প্রশ্ন শুনেই হেসে উঠেন।
বলেন, আমার সমর্থ যদি এর থেকে বেশি থাকতো তবে, অসহায় মানুষগুলো পাশে দাঁড়াতে গিয়ে তা বিলিয়ে দিতাম। দেশের নাগরিক হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। তাছাড়া মানুষইতো মানুষের জন্য। মমতাজ বেগম বলেন, অনুদানের পরিমাণটা খুব বেশি নয়।
সামান্য। এক মাসের বেতন আর বৈশাখী উৎসব ভাতা মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে পাঠিয়েছি। আমার অনুরোধ থাকবে, এই পরিস্থিতিতে যার যতটুকু সমর্থ আছে তারা যেন অসহায় মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়ায়। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলেই মনে করি।