ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


ডাকসু : ছাড় দেওয়ার মানসিকতা ছাত্রলীগের


১০ জানুয়ারী ২০১৯ ২২:১৮

আপডেট:
১০ জানুয়ারী ২০১৯ ২২:২৩

ডাকসু : ছাড় দেওয়ার মানসিকতা ছাত্রলীগের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নিবার্চনের পূর্বে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসছে গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি। উপাচার্যের কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ইতোমধ্যে গত ৬ জানুয়ারি সব ছাত্র সংগঠনকে সভায় উপস্থিত থেকে নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ছাত্র সংগঠনগুলো। এদিকে আগামীকালকের সভায় গঠনতন্ত্রের কোন কোন বিষয়ে কথা বলবে জানতে চাইলে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা নিজ নিজ সংগঠনের অবস্থান তুলে ধরেন।


ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি নিয়ে সভায় হাজির হওয়ার কথা জানিয়েছে। এ ছাড়াও সংগঠনটির অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বয়স শিথিলের পক্ষেও মত দেয়ার পক্ষে রয়েছে ছাত্রলীগ। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো সবার আগে ক্যাম্পাসের সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানায়। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থীর বয়স শিথিল ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ভারসাম্য চাইবে তারা।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, দীর্ঘ তিন দশক ধরে নির্বাচন না হওয়ার কারণে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ হতে পারে। তাই সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে আমরা মিটিংয়ে আমরা অংশগ্রহণ করবো।



তিনি বলেন, আমরা চাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাক। সে জায়গা থেকে আমরা সর্বোচ্চ উদারতা, গণতান্ত্রিক মানসিকতা এবং সর্বোচ্চ ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় অংশ নেবো।

ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর বলেন, সবার আগে ডাকসু নির্বাচনের জন্য সহবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসের যে পরিবেশ তাতে সহবস্থান আছে বলে আমরা মনে করছি না।

তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করতে গিয়ে আমাদের একটি বিষয় নজরে এসেছে যে ডাকসুর প্রেসিডেন্ট চাইলে একক সিদ্ধান্তে যেকোনো কিছু করতে পারে। এটা আমাদের কাছে অগণতান্ত্রিক মনে হয়েছে। একই সঙ্গে এটা স্বৈরতান্ত্রিকও বটে। এটা নিয়ে বিবেচনা করার সময় হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে প্রার্থীতা। যেহেতু গত ২৮টি বছর ডাকসু নির্বাচন হয়নি, ফলে প্রার্থীতার ক্ষেত্রে প্রশাসন কিছুটা আইন শিথিল করতে পারে কি না- সেই বিষয়ে প্রস্তাবনা থাকবে।



ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বলেন, আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে- সব ছাত্র সংগঠনের জন্য সহবস্থান নিশ্চিত করা। সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হোক।

তিনি বলেন, আমরা ডাকসুর গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করেছি। দীর্ঘদিন যেহেতু ডাকসু নির্বাচন হয়নি, সেহেতু এর গঠনতন্ত্রে অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা সংশোধন করা এখন সময়ের দাবি। প্রার্থীদের বয়সের বিষয়টিও আলোচনা হতে পারে। এ ছাড়াও অনেকগুলো বিষয় যুযোপযোগী করা দরকার বলে আমাদের মনে হয়েছে। আমরা সেগুলো মতবিনিময় সভায় তুলে ধরবো।