চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ৩২টি ইউনিট, আহত অনেকে

রাজধানীর চকবাজার এলাকায় আবাসিক ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩২টি ইউনিট। বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সরু গলি হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না। চকবাজার থানার সামনে গাড়ি রেখে সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে পানি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আশপাশের ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে।
রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাশের প্রায় চারটি ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। চকবাজার এলাকার গ্যাসলাইন থেকেও আগুন বের হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল।
ঘটনাস্থল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, রাজ্জাক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক দ্রব্যের কারখানা ছিল এবং ওই ভবনের পাশে বেশ কিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটিতে চার থেকে পাঁচটি করে গ্যাসের সিলিন্ডার রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে।
এখন পর্যন্ত ১০ জন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ও ৪০ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য এসছেন। আহত ও আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীরা এখনও ঢাকা মেডিকেলে আসছেন। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে রেজাউল ও সোহাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছেন। রেজাউলের শরীরের ৬০ শতাংশ ও সোহাগের ৫১ শতাংশ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনোয়ার, মাহমুদ, জাকির (১), সেলিম, রেজাউল, জাকির (২), হেলাল ও মোজাফফরের নাম জানা গেছে।
এর আগে রামিম নামের একটি শিশু চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, চুরিহাট্টা মসজিদ গলির একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে থানার একাধিক কর্মকর্তা সেখানে গেছেন। আগুন লাগা ভবনের আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা