ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯শে আগস্ট ২০২৫, ৫ই ভাদ্র ১৪৩২


‘নকলা মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন’র আনন্দ ভ্রমন: স্মৃতির ফ্রেমে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক


প্রকাশিত:
১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৭:১৯

পড়ালেখার চাপ বা প্রতিনিয়মিত কাজ করতে করতে সবার প্রায়ই মনে হয়, প্রাকৃতিক কোন খোলামেলা পরিবেশে ঘুরে আসতে পারলে বা প্রকৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে পারলে মন্দ হতোনা। সুযোগ পেলেই প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে সবার মন চায়। তাই দূরে কোথাও বা প্রাকৃতিক কোন পরিবেশে হারিয়ে যেতে পারলে মন্দ হয় না।

আর তাইতো নিজ নিজ কর্মব্যস্ততার মধ্যে, যেকোন মাধ্যমে যখন কোন মনোরম পরিবেশের দৃশ্য, নদী, হাওর বা অরণ্যের ছবি দেখি, তখন মনে হয় সকল বন্ধুরা মিলে যদি সেখানে ঘুরে আসা যেতো, কতইনা আনন্দ হতো! ঝরনার ছবি দেখে করুণ চোখে চেয়ে থাকি, সাগরের ছবি দেখে বুকের ভেতরটা হাহাকার করে ওঠে, অরণ্যের ছবি দেখে মনে হয় হারিয়ে যাই। একদিন হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আমরা প্রতিদিন নিজ নিজ কাজের পিছনে ছুটে বেড়াই, অফিস করে যাই নিয়মিত বা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হয়।

এরই ফাঁকে সত্যিই একদিন সকল কাজ রেখে ঘুরে বেড়ানোর দিন আসে! আর সেই সুযোগটাও কিনা হয় শেরপুরের নকলা মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে পর্যটন জেলা ঐতিহ্যবাহী কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী ও ইটনা হাওরে দিনব্যাপী নৌকায় আনন্দ ভ্রমনের। এ দিনে যা হয় তার সবটুকুই আনন্দ আর আনন্দ। এই একটা দিন আনন্দ করা এবং নৌকা দিয়ে হাওর ভ্রমনে সামান্য ভয় ছাড়া কোন পিছুটান ছিলোনা। এদিন মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সদস্য ও শুভাকাঙ্খিদের হাসি, গান/গজল, আড্ডা, গল্প আর নৌকা দিয়ে ঘুরে বেড়ানোই যেন ছিলো সবার কাজ।

এই স্মৃতিময় আনন্দ নৌকা ভ্রমনে মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সায়েম ইসলাম তুর্য, সংগঠনটির সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল-আমিন, সহ-সভাপতি রনি ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক আরফিকার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান আল-মাহাদী, উপজেলা যুবশক্তির আহবায়ক এস.এম মাসুম, তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ইমাম হাসান সাব্বির, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ আহমেদ সজিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিফাত, কোষাধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ, দপ্তর সম্পাদক বজলুর রহমান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, কল্যাণ ও তহবিল বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক, আই.টি সম্পাদক তাহমিদ জিম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ রিদওয়ান আহমাদ, শিক্ষা ও মানব কল্যাণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক সম্পাদক বাবুল হাসান, কর্মসূচী ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাসেল মিয়া, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহিন আকন্দ, কার্যকরী সদস্য আর.এন. রাফিক, হাফেজ মাওলানা মাহাদী হাসান, হাফেজ সুলতান মাহমুদ, রব্বানী, আব্দুল্লাহ, মো. সানি, তানভীর আহমেদ, রাজিব মন্ডল, আবু রায়হান মুরাদ ও জামান ইকতিদারসহ দেড়শতাধিক ভ্রমন পিপাসু ও প্রকৃতি প্রেমী শুভাকাঙ্খিরা অংশগ্রহন করেছিলেন।

বিশাল বিশাল হাওরে নৌকা ভ্রমনের সময় সুন্দর দৃশ্য নজরে পড়লেই সবাই ফটো সেশনে অংশ নিয়ে একফ্রেমের স্মৃতিতে স্থান করে নেন। তারা বিশাল বহরে মাতিয়ে এলেন চার চারটি উপজেলার বিভিন্ন হাওর। তাই দিনটি হয়তো অনেকের কাছেই স্মরনীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন ভ্রমন পিপাসু প্রকৃতি প্রেমীরা।