ঢাকা সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১


হাইকোর্টের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে,

অকৃতকার্য ছাত্রীকে ঘ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দিতে নির্দেশ


১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:১০

আপডেট:
১৪ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:১৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষার দিন অকৃতকার্য এক ছাত্রীকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সুপ্রিমকোর্টর আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মেয়ে আনিকা বিনতে ইউনুছকে উত্তীর্ণদের সঙ্গে ফের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে আদালত বলেন, যেহেতু ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাহলে শুধু উত্তীর্ণদের কেন? পরীক্ষা নিলে সকলেরই নিতে পারতো। বাকীদের কেন পরীক্ষা নেওয়া হবে না এমন প্রশ্ন করেন আদালত।

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বরং ডিজিটাল জালিয়াতের ঘটনা ঘটেছে। যার সঙ্গে স্বল্প সংখ্যক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এমনকি এর সঙ্গে জড়িত কিছু সংখ্যক গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টে এমনটিই উঠে এসেছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু উত্তীর্ণদের ফের পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ সময় আদালত বলেন, সকলেরই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল।

পরে আদালত আইনজীবী ইউনুছ আলীর মেয়ে আনিকা বিনতে ইউনুছকে ফের ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

গত ২১ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী। রিটে ওই ভর্তি পরীক্ষাটি কেন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আবেদন করা হয়।

শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে রিটে বিবাদী করা হয়।

গত ১২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ‘ঘ’ ইউনিটের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠে।

এরই জের ধরে গত ২৩ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঘ ইউনিটে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাবি ডিন কমিটি। তবে এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করা সাড়ে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে বলে ঠিক করা হয়। আগামী ১৬ নভেম্বর নতুন এই ভর্তি পরীক্ষার দিন ঠিক করা হয়।