ঢাকা বুধবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৫, ৪ঠা বৈশাখ ১৪৩২


গাজায় মৃত্যুর মিছিল, নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৫১ হাজার


১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:১৭

আপডেট:
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১৬

ফাইল ছবি

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় আরও অন্তত ২৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। এই সহিংসতায় গাজায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫১ হাজারে।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।

গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো ধারাবাহিক হামলায় নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২৩ জন, এমন তথ্য জানিয়েছে গাজায় কাজ করা একাধিক চিকিৎসা সংস্থা। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে হামলা ও হতাহতের ঘটনা এখনও থামেনি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ১৮ মাস আগে ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে অন্তত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার।

হামাসের সামরিক শাখা জানায়, মার্কিন-ইসরায়েলি বাহিনীর পাহারায় থাকা বন্দির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই স্থানে ইসরায়েলের সরাসরি বোমাবর্ষণের পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এরও বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষ নিখোঁজ, যাদের অনেককে মৃত ধরেই বিবেচনা করা হচ্ছে।

প্রায় ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিছুদিন শান্তি বজায় থাকলেও, মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল আবারও হামলা শুরু করে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই নতুন দফার হামলায় ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬৩০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি। এই সহিংসতা যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে।

জাতিসংঘের মতে, এই আক্রমণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। উপত্যকার প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে বা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

এর আগে, গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার কারণে তারা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে।