চীন থেকে বাংলাদেশিরা ফিরতে পারবে ১৪ দিন পরে
করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। সোমবার গণমাধ্যমে মন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সি-১৩০ ফ্লাইটে করে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীনের উহানসহ অন্য শহরগুলোতে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ অন্যদের আনতে বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪ দিন পর তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য চীন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ১৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের। চীন থেকে বাংলাদেশিদের দেশে আনার বিষয়টি অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের দেশে আনতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার।
মন্ত্রী জানান, সতর্কতার অংশ হিসেবে চীন কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশের বাসিন্দাদের ১৪ দিন আগে দেশটি ছাড়ার সুযোগ দিচ্ছে না।
বর্তমানে চীনে ৪০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। দূতাবাসের ইমেইল গ্রুপে এখন পর্যন্ত ২৪৫ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহুসংখ্যক মানুষ বাণিজ্যিক কারণে চীনে যাতায়াত করছে। সুতরাং এই ভয়াবহ ভাইরাস বাংলাদেশে যেকোনো উপায়ে চলে এলে এটি আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে, সেই দিকটিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।