পলাশ মণি দাসের ব্যতিক্রমী নাটক ‘আন্তর্জাতিক বিচারক’
সুনিপুণ নির্মাতা পলাশ মণি দাসের পরিচালনায় নির্মিত হলো বিশেষ নাটক ‘আন্তর্জাতিক বিচারক’। নাটকটি রচনা করেছেন ফরিদুল ইসলাম রুবেল। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- তারিক স্বপন, আঁখি চৌধুরী, কাজী রাজু, রেবেকা রউফ, ফরিদ হোসেন, হিয়া মণি প্রমুখ।
নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক পলাশ মণি দাস বলেন, ‘গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার নেপথ্যে কাজ করে রতন। সেই সাথে গ্রামের চোর-বাটপারদের শায়েস্তা করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে সে। এটি খুবই চমৎকার একটি সমাজ উপকৃত গল্প।’
গল্পের নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘ভিউয়ের প্রতিযোগিতায় সবসময় লিপ্ত না হয়ে ব্যতিক্রমী কিছু গল্পও দর্শকদের উপহার দিতে হয়। আন্তর্জাতিক বিচারক তেমনি একটি গল্প।’
কাহিনিতে দেখা যায়- গ্রামের ছেলে রতন হঠাৎ করে শহর থেকে এপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়ে হাজির হয়। এই প্রথম কাউকে সরাসরি আন্তর্জাতিক বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার প্রেমিকা চামেলীতো আনন্দে আত্মহারা। সে রতনকে নিয়ে কি করবে বুঝতে পারে না।
অন্যদিকে গ্রামে এ্যাড. জাকিরকে থ্রেট করে, যে যতদিন গ্রামে আছে ততদিন সহজ-সরল মানুষগুলোকে ঠকিয়ে কিছু করতে গেলে আন্তর্জাতিক আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করবে। রতনের ভয়ে এ্যাড. জাকিরের অবস্থা খারাপ। এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে তাকে না খেয়ে থাকতে হবে।
এখন গ্রামে কোনো ঘটনা ঘটলেই মানুষ ছুটে যায় আন্তর্জাতিক বিচারক রতনের কাছে। গ্রামের মানুষের বিচারকার্য করে কিছুদিন চলতে থাকে রতনের। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে তার কাছে। গ্রামের মধ্যে এ যেন এক এলাহি কাণ্ড।
এ্যাড. জাকিরের মনে প্রশ্ন জাগে- কিসের জন্য এবং কোন যোগ্যতার জন্য রতনকে আন্তর্জাতিক বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আর সে যদি আন্তর্জাতিক বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেয়ে থাকে তাহলে সে গ্রামে কি করছে। আন্তর্জাতিক বিচার করতে দেশের বাহিরে কেন যাচ্ছে না। তাহলে কি সে গ্রামের সবার সাথে চাপা মারছে।
বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে রতন গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলায় আন্তর্জাতিক বিচারকের দায়িত্ব পালন করে সে। নেদারল্যান্ড থেকে সরাসরি টিভিতে সেই হাডুডু খেলা সম্প্রচার হচ্ছে।
নাটকটি শীঘ্রই একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা যায়।