ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


সাভার থানায় পরীমণির সাড়ে চার ঘণ্টা


২৮ জুন ২০২১ ০৪:১৯

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১৫:৩৪

সাভার (ঢাকা) : সাভার মডেল থানায় আজ রোববার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাদা রঙের ব্যক্তিগত গাড়ি করে থানা থেকে বের হন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে দেখা যায়। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে থানায় উপস্থিত হন পরীমণি।

থানা-পুলিশ ও পরীমণির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত উত্তরার বোট ক্লাবের ঘটনায় করা মামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানতেই পরীমণিকে ডাকা হয়েছিল। এ মামলার অন্যতম আসামি (বর্তমানে কারাগারে) নাসির উদ্দিন ও তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন সেসব বিষয়ে সরাসরি জানতে চেয়েছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময়টি পরীমণি ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফীর কক্ষে ছিলেন।

জানা গেছে, পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকেও সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে পুরো সময়টিতে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে সাভার মডেল থানা এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। থানার মূল ফটকটি বন্ধ রাখা হয়। পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও পরে সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

সাভার মডেল থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির করা মামলার আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমি মাদক মামলায় পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত ২৩ জুন তাঁদের সাভার মডেল থানায় রিমান্ডে আনা হয়।

গত ৯ জুন সাভারের বিরুলিয়া ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ প্রথমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও পরে সংবাদ সম্মেলন করেন পরীমণি। ১৪ জুন সাভার মডেল থানায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

থানা থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই চলে যেতে উদ্যত হন পরীমণি। সাংবাদিকরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরলে কথা বলেন তিনি।

পুলিশের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাকে এত বেশি সাপোর্ট দিচ্ছেন, আমি খুবই ব্লেসড। বোট ক্লাবে যা যা হয়েছিল তা আমাকে ডিটেইলে বলতে হয়েছে। আমি তো তাঁদেরকে বলিনি। তাঁরা (পুলিশ) যা শুনেছেন তা তো মিডিয়া বা আপনাদের থ্রুতে (মাধ্যমে) শুনেছেন। তাদের তো আমার কাছ থেকে সরাসরি শুনতে হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত স্বার্থে আপাতত কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।