ঢাকা শনিবার, ১১ই মে ২০২৪, ২৯শে বৈশাখ ১৪৩১


ছাত্রলীগ থেকে ৩২ নেতাকে অব্যাহতি


১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৩৪

আপডেট:
১১ মে ২০২৪ ১৬:১৫

জামাত-শিবির ও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত, বিবাহিত, ব্যবসায়ী ও চাকরি করার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ২১ জন এবং স্বেচ্ছায় অব্যাহতি চাওয়ায় আরও ১১ জনসহ মোট ৩২জনকে অব্যাহতি দিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ও সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

 এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) লেখক ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, অব্যাহতি প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তদন্তের মাধ্যমে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়াই তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজন স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছে। পরবর্তীতে শূন্য পদ গুলোতে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন করা হবে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথী, মুনমুন নাহার বৈশাখী, আবু সাঈদ (সাস্ট), রুহুল আমিন, রাকিব, সোহেল রানা ও ইসমাইল হোসেন তপু।

দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তাজ উদ্দীন, দপ্তর উপ-সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার ও মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সী, সংস্কৃতি উপ-সম্পাদক বি. এম, লিপি আক্তার ও আফরিন লাবণি, সহ-সম্পাদক সামিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছর ৩১ জুলাই শোভনকে সভাপতি ও রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের আংশিক কমিটি ঘোষিত হয়। এর প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরদিন ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন পদপ্রত্যাশীরা। পরে গত ১৫ মে শোভন-রাব্বানীকে গণভবনে ডেকে নিয়ে কমিটি থেকে ‘বিতর্কিতদের’ বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন রাতেই ‘বিতর্কিত’ হিসেবে চিহ্নিত ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার কথা জানান ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নির্দোষ প্রমাণের জন্য তাদের ২৪ ঘণ্টার সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। তবে কেউ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পেরেছেন কি না– পরবর্তী সময়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে সেটি আর জানানো হয়নি।