ঢাকা সোমবার, ১৩ই মে ২০২৪, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩১


পাঠ্য বইয়ে ভুল তথ্য দিলে ৩ বছরের কাপাঠ্য বইরাদণ্ড


২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৬:৫২

আপডেট:
১৩ মে ২০২৪ ২২:১৪

।। স্পেশাল করেসপন্ডেট।।

ঢাকা: পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণকারী, প্রকাশক, বিতরণকারী, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা ভুল তথ্য দিলে বা তার দেওয়া প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্যে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া গেলে তিনি তিন বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিল-২০১৮’ পাস করা হয়েছে।

এছাড়া বোর্ড অনুমোদিত বই ছাড়া কোনো বিদ্যালয়ে অন্য বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবে না মর্মে বিলে বিধান রাখা হয়েছে।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ।

এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলে বলা হয়েছে, এই বোর্ড প্রণীত ও প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তক ছাড়া বা বোর্ড কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক হিসেবে অনুমোদিত নয়, এমন কোনো বই কোনো বিদ্যালয়ের জন্য পাঠ্যপুস্তক নির্ধারণ করা যাবে না। তবে সরকার গেজেট বলে বিশেষায়িত শ্রেণির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই বিধান রহিত করতে পারবে। এছাড়া নয় সদস্যের কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড পরিচালনা করবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারিকৃত উক্ত অধ্যাদেশ অকার্যকর হয়ে গেলে আইনের আবশ্যিকতা বিবেচনায় ২০১৩ সালে জারি করা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে আইনটি কার্যকর রাখা হয়। পরবর্তীতে আইনের বিধানাবলি বিবেচনা ক্রমে সময়ের চাহিদার আলোকে আইনটি প্রণীত হয়। ২০১৬ সালে আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। ভেটিং শেষে গত সেপ্টেম্বর মাসে মন্ত্রিসভা আইনটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে।

আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশসমুহর বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ‘ন্যাশনাল ক্যারিকুলাম এন্ড টেক্সট-বুক বোর্ড অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩’ সংশোধন ও রহিত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। আইনটিতে সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেওয়া হয়েছে।