নকলার ২৩৭৫ শীতার্ত পাচ্ছেন শীত নিবারনের কম্বল
শেরপুরের নকলায় চলতি শীতে অন্তত ২ হাজার ৩৭৫টি শীতার্ত পরিবারের মাঝে একটি করে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ১ হাজার ৫৭৫টি এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ৮০০টি কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এর অংশ হিসেবে বুধবার দুপুরের দিকে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সীমিত পরিসরে বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৫০টি শীতার্ত পরিবার প্রধানের হাতে একটি করে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম’র সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্য ওবাইদুল হক, বাজু মিয়া ও হামিদুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছালেহা আক্তার, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও নকলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মো. সেলিম রেজাসহ এলাকার গন্যমান্য বক্তিবর্গ, গ্রাম পুলিশগন ও শীতার্ত পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে প্রতিটিতে ১৫০টি করে মোট একহাজার ৫০০টি কম্বল সংশ্লিষ্ট পরিষদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৮০টি করে মোট ৮০০টি এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত কম্বল হতে ৭০টি করে মোট ৭০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
বাকি কম্বল গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম অফিসের কাজ শেষে প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে ঘুরে নিজের হাতে শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করছেন। শীতের তীব্রতা বিবেচনায় কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দিচ্ছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী পরিবারের মাঝে, অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে, ছিন্নমূল নর-নারী ও বিভিন্ন এতিম খানার শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব কম্বল বিতরণ কাজে ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সহযোগিতা করছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন এ্যানি, পিআইও মো. আনোয়ার হোসেন শামীম, উপসহকারী প্রকৌশলী নূর হোসেনসহ ইউএনও অফিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী, পুলিশ-আনসার বিভাগের সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধ ও তরুণ স্বেচ্ছাসেবকগন।
