ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ই পৌষ ১৪৩২


মুক্তি কক্সবাজারে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা ভ্রমণ


প্রকাশিত:
২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৪৯

টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারে অবস্থিত উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি কক্সবাজার-এ একটি অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন।

গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে সমাজকর্ম বিভাগের ২৫ জন শিক্ষার্থী সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ চৌধুরী-এর নেতৃত্বে মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান কার্যালয় এবং মাঠ পর্যায়ে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার পটভূমি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, বর্তমান কর্মপরিধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সংস্থার অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, টেকসই নগর উন্নয়ন, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

আলোচনা পর্ব শেষে শিক্ষার্থীরা এসডিজি-১১ (টেকসই শহর ও কমিউনিটি)-এর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে মুক্তি কক্সবাজারের বাস্তবায়নাধীন FiLEP প্রকল্পের আওতায় নাজিরারটেক ভাসানপাড়া এলাকার নারী সদস্যদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। এ সময় তারা কমিউনিটির অংশীজনদের মতামত সংগ্রহ করে বাস্তবভিত্তিক সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা লাভ করেন।

ভ্রমণকালে মুক্তি কক্সবাজারের মো. খাইরুল ইসলাম (পরিচালক, মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন) এবং সুজিত কুমার ভৌমিক (পরিচালক, মানব সম্পদ ও প্রশাসন) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

ভ্রমণ শেষে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ চৌধুরী শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষা ভ্রমণে সার্বিক সহযোগিতা ও আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য মুক্তি কক্সবাজার কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুক্তি কক্সবাজারের বাস্তবভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তব প্রয়োগের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে দক্ষ, মানবিক ও পেশাদার সমাজকর্মী তৈরিতে এ ধরনের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।