ঢাকা রবিবার, ১১ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


যারা আমাকে পাগল বলে,অাসলে তারাই পাগল


১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৭:৩৭

আপডেট:
১১ মে ২০২৫ ০২:৩২

হিরো অালম

হাইকোর্টে রিট করে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

সোমবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদেশের পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন খুব খুশি। হাইকোর্টে যে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়, তা প্রমাণ হলো। ইসি যে বলছিল, আমার ভোটার তালিকা ভুয়া, তা আজ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। ইসিকে হাইকোর্ট দেখিয়ে দিলাম।’

মোবাইলে  তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। অনেক লড়াই করে আমি মনোনয়ন ফিরে পেয়েছি।

হিরো আলম বলেন, এ বিজয় সকল জনগণের। সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী, সত্যের জয় হয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমার এ মনোনয়ন ফিরে পাওয়ায় সকল মিডিয়া কর্মীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার পাশে যারা সবসময় থেকেছেন, আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

হিরো আলম বলেন, যারা আমাকে পাগল বলে আসলে তারাই পাগল। আমি তাদেরকে বলতে চাই আপনারা যারা আমাকে নিয়ে সমালোচনা করেন তাদের পরাজয় হয়েছে।

কবে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, আমি তো এখন ঢাকা আছি, এলাকায় যাই, এরপর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব।

হিরো আলম মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাদের কারণেই আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছি। যদিও অনেকে আমাকে নিয়ে লেখালেখি করায় মিডিয়ার ভূমিকাকে বাড়াবাড়ি বলেছিলেন। তিনি আশা করেন, ভোটে ভালো ফলাফল করবেন।

হিরো আলমের আইনজীবী কাওসার আলী জানান, হাইকোর্টে রিট পিটিশন করার পর সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ শুনানী শেষে রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তার মক্কেলের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের আদেশ পাওয়ার পর হিরো আলম প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন।

প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম।

কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন।

পরে তিনি এর বিরুদ্ধে আপিল করলে গত ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন তা খারিজ করে দেয়।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রোববার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন হিরো আলম।