ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১


টেকসই ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি স্বাক্ষর


১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩১

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:১৮

ডেনমার্ক এবং বাংলাদেশ একসাথে কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ সোমবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) এবং ঢাকায় অবস্থিত ডেনিশ দূতাবাস Strategic Sector Cooperation (SSC) শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্পে স্বাক্ষর করেছে। এই প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।

চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে দেশটির মান্যবর রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার (H.E. Mr. Christian Brix Møller) এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে চেয়ারম্যান জাকারিয়া স্বাক্ষর করেন।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত, ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার (H.E. Mr. Christian Brix Møller) এ বিষয়ে বলেন, “ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।”

বিএফএসএ’এর চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, “সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদতা বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।”

চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসাথে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে। ডেনিশ ভেটেরিনারি এন্ড ফুড এডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।

এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে :

প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো; দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত, ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।