ঢাকা সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১


ঢাকা-৫: লড়াইয়ে তিন নেতা, রিপনের ঈগলে গণজোয়ার!


৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫:৪৯

আপডেট:
৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫:৫৪

ঢাকা-৫:লড়াইয়ে তিন নেতা, ঈগলে গণজোয়ার!

ঢাকা-৫ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভবনা দেখছেন ভোটাররা। আর এ লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের তিন নেতা। একজন দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে লড়ছেন, বাকি দুইজন ট্রাক ও ঈগল নিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ঢাকার প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার আংশিক নিয়ে গঠিত এ আসন। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে এবার ১২ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন। নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়িতে চলছে সবার প্রচার-প্রচারণা।

তবে এ লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন করোনাকালে ‘মানবিক নেতা’ খ্যাতি পাওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।

ঢাকা-৫: লড়াইয়ে তিন নেতা, রিপনের ঈগলে গণজোয়ার!

 কামরুল হাসান রিপন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন এলাকায় বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা আর গণসংযোগ করছেন তিনি।

নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার লক্ষ্য, ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করা। সবসময় এলাকার মানুষের জন্য কাজ করেছি, পাশে থেকেছি। তারা আমাকে ভোট দিতে কেন্দ্রে অবশ্যই আসবেন।

কামরুল হাসান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করলেও তার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বড় একটি অংশ গণসংযোগের নেমেছেন। বিশেষ করে এলাকার তরুণদের উৎসাহও তাকে নিয়ে। প্রচার-প্রচারণা আর গণসংযোগেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তরুণরা তার সমর্থনে নির্বাচনি অফিস করে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। বড় বড় প্রতীকী ঈগল বানিয়ে রাস্তায় রাস্তায় প্রদর্শন করছেন তারা।

ঈগল প্রতীকের প্রার্থী কামরুল হাসানের গণসংযোগে সরেজমিন দেখা গেছে, এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি তার পক্ষে ভোট চেয়ে লাগানো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। চলছে মিছিল-মিটিং ও পথসভা। ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচার।

ঢাকা-৫: লড়াইয়ে তিন নেতা, রিপনের ঈগলে গণজোয়ার!

কামরুল হাসানের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট চাচ্ছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। জমে উঠেছে ভোটের মাঠে প্রচারযুদ্ধ। গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনিও।

কামরুল হাসান বলেন, মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় কিছু নেই। দিন শেষে এটাই প্রাপ্য। আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও সেটিই বলেছেন যে, মানুষ যদি আপনাকে ভালোবাসে, একজন রাজনৈতিক নেতার জীবনে এর চেয়ে বড় কোনো পাওয়া নেই। আমি সেটি পাচ্ছি। এই ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। নির্বাচনে ফলাফল যা-ই হোক না কেন, দিনশেষে আমি এই এলাকার সন্তান। এসব মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম, আছি, থাকবো।

অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয়দের বড় একটি অংশ মনে করেন নির্বাচনে কামরুল হাসান রিপন বিপুল ভোটে জয়ী হবেন ।

ঢাকা-৫: লড়াইয়ে তিন নেতা, রিপনের ঈগলে গণজোয়ার!

এর মূল কারণ করোনায় মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে। করোনার প্রভাব সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশও এক চরম সংকটের মধ্যে পড়ে। আর এ সময় ঢাকা-৫ আসনের সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানা রিপন। এসময় সাধারণত অন্যকাউকে দেখা যায় নাই। এছাড়াও তিনি প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন। কখনও মাদরাসার এতিমদের পাশে আবার কখনও কোন দরিদ্র মানুষের ঘরে। প্রতিদিন কোন না কোন ভাল কাজ করা তার নিত্যদিনের অভ্যাস। 

কর্মীবান্ধব এই নেতা প্রতিদিনই মানবিক সেবা নিয়ে জনগণের দোরগড়ায় অবিরাম ছুটে চলছেন। যেকোন প্রয়োজনে জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। বাড়িয়ে দিচ্ছেন সহযোগিতার হাত।