ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


নরসিংদী দুই ‘চেয়ারম্যান প্রার্থীর ’ গোলাগুলিতে নিহত ৩


৪ নভেম্বর ২০২১ ২১:১৩

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৪:০৭

নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নারীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের পটু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৪৬), আবদুল জলিলের ছেলে আশরাফুল (২২) ও আবদুল মনু মিয়ার মেয়ে খুশী বেগম (৫০)। তারা সকলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক।

পুলিশ জানায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। একই সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আসাদউল্লাহ।

দলীয় মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন এড. আসাদউল্লাহ।

সর্বশেষ দলীয় চাপে ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এড. আসাদুল্লাহ। এতে আসাদুল্লাহ সমর্থকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল।

ওই দিন কথাকাটাকাটির জের ধরে উভয় সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে উভয় পক্ষের ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।

ওই দ্বন্দ্বের জেরেই বৃহস্পতিবার সকালে আসাদউল্লাহর সমর্থকরা দীপু সমর্থদের উপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দীপুর সমর্থক আমির হোসেন, আশরাফুল ও খুশী বেগম নিহত হয়। ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ইউপি নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব ছিল। আজ সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছে।

বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।