ঢাকায় থেকেও বরিশালের মামলার আসামি

ঢাকায় চিকিৎসার জন্য অবস্থান করেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলার ৮নং আসামি হওয়ার দাবি করেছেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক। এটাকে তিনি ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। পুলিশ বলছে, তদন্ত করা হবে বিষয়টি।
শুক্রবার রাতে প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৪ আগস্ট আমি করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি। এরপর ১৫ আগস্ট দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি এবং ১৬ আগস্ট স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তাকে এবং নিজেও ডাক্তার দেখাতে ঢাকায় যাই। এরপর স্ত্রীর চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকার মাঝেই ১৮ আগস্ট বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে জানতে পারি বরিশালে গণ্ডগোল হচ্ছে। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হই এবং ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বরিশালে আসি। যার বোর্ডিং পাসের কাগজও আমার কাছে রয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালে এসে আমি আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুসের কাছ থেকে জানতে পারি দায়ের হওয়া দুটি মামলার একটির ৮ নম্বর আসামি আমি।
রাজ্জাক বলেন, আমার প্রশ্ন যদি আমি বরিশালেই না থাকি তাহলে মামলার আসামি কীভাবে হলাম। আর এ দিয়ে প্রমাণিত হয় মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। অর্থাৎ এখানে বরিশালের সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এছাড়া যতদূর জানতে পেরেছি ওই মামলায় এমন একজনকে আসামি করা হয়েছে যিনি মৃত।
তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১/১১ তে প্রধানমন্ত্রীর মিছিলে শামিল হওয়ার অপরাধে আমাকে গ্রেফতার করে। আমি আমার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তুলে ধরেছি, আমি এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, একজনের বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। তবে মামলার তদন্তে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। সেখানে কেউ দোষী না হলে তাকে অব্যাহতি দেয়া হবে।