ঢাকা শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১


তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী


২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭

আপডেট:
২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০২:০০

তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: ‘তুমি যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হও তবে কী পরিবর্তন চাও এবং কীভাবে চাও? উপস্থাপকের এ প্রশ্ন উৎসুক হয়ে ওঠেন দর্শকরা। সবাই বয়সে তরুণ, তাও যেই সেই তরুণ নন, সেই সব তরুণ; যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) তাদের সুযোগ হয় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর ঠিক দেশটাকে কীভাবে, কেমন দেখতে চান তারা! রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজনে ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎ স্বপ্নের বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগ, পরামর্শ ও চাওয়া-পাওয়ার কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী।


দেশ গড়ার স্বপ্ন-পরিকল্পনা নিয়ে তরুণদের সঙ্গে আলোচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তরুণদের কাছ থেকে গ্রহণ করেন দেশ গঠনে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথা।

‘ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান তরুণরা অথবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন কোন সমস্যার সমাধান করবেন তারা’- এমন অনেক আকর্ষণীয় বিষয়ে আলোচনা হয় এবারের লেটস টক-এ।

তরুণ প্রাণের উচ্ছ্বাসে প্রাণবন্ত এ অনুষ্ঠানে তরুণরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান ভবিষ্যৎ স্বপ্নের বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তাদের বিভিন্ন উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেও তরুণরা পান নানান নির্দেশনা আবার নিজেরাও বিভিন্ন পরিকল্পনা দেন নানা বিষয়ে।


দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা, নানান শ্রেণি-পেশার দেড়শ জন তরুণ অংশ নেন ব্যতিক্রমী এই আলোচনায়। তাদের কেউ চাকরিজীবী, কেউ উদ্যোক্তা, অনেকেই মাত্র শিক্ষার্থী। বাদ ছিলেন না ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত উদ্যমী তরুণরাও। তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত দেশ গঠনের কাজে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী এভাবে মুখোমুখি হলেন তরুণদের। শুধু কেজো কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে জানার অসীম তাদের আগ্রহ। কেমন ছিল প্রধানমন্ত্রীর শৈশব, কৈশোর, রাজনীতিতেই বা কীভাবে এলেন। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে কীভাবে সাহস ধরে রেখেছিলেন, ১৯৭৫ এর ভয়াবহ স্মৃতির গল্প যেমন ছিল তেমন ছিল শৈশবের স্কুল পালানোর মিষ্টি স্মৃতির কথাও।


পরিবারের সকলকে হারানোর পরেও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প, চরম বৈরি অবস্থায়ও দেশে ফিরে আসার গল্প, দল ও দেশের হাল ধরার গল্প আরও কত প্রশ্ন যে তরুণদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে! একজন তো এটাও জানতে চান, এত কাজ করেও প্রধানমন্ত্রী কীভাবে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখেন? কী তার খাদ্যাভ্যাস?

হাজার কঠিন প্রশ্নের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী স্বভাবসুলভ হাস্যরসবোধ বজায় রেখে জবাব দেন তরুণদের, তার দুঃসহ স্মৃতির কথায় চোখ মুছে তারা আবার সহসাই হেসে ওঠেন রসিকতায়।

কথার পিঠে কথা, প্রশ্নের পরে প্রশ্ন, সব মিলে উঠে আসে বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য, একটা দেশের তিলে তিলে গড়ে ওঠা উপাখ্যান। পরে যাওয়া আবার ঘুরে দাঁড়ানো। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে তার নেয়া নানা সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটের কথাও জানান তরুণদের। ব্যাখ্যা করেন তার অবস্থান।

তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী


চমৎকার এই আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তরুণদের দেন নানান দিক নির্দেশনা, শোনান সাহস ধরে রাখার মন্ত্র। আবার নিজেও জেনেন নেন দেশটাকে নিয়ে তারুণ্যের ভাবনার কথা। তরুণদের সঙ্গে এমনই সব আকর্ষণীয় কথোপকথন নিয়ে শেষ হয়, ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা।’

লেটস টক সিআরআই-এর নিয়মিত এক আয়োজন, যার উদ্দেশ্য তরুণদের সঙ্গে দেশের নীতি নির্ধারকদের একটি সহজ, সাবলীল কথা বলার ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া। তরুণরা যেন নিজেদের স্বপ্নের কথা, সমস্যার কথা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাতে পারে সহজেই তাই এই আয়োজন।


এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বেশ কয়েকবার লেটস টক আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আয়োজন করা হল ‘লেটস টক’ উইথ শেখ হাসিনা।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় গণমাধ্যমে প্রচারিত হবে এই অনুষ্ঠানটি, এমন তথ্যই দিয়েছে সিআরআই।


তরুণদের স্বপ্নের বাংলাদেশের কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী