এর পূর্বে এই নারীই অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে এনে সাবেক যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন।
যাত্রাবাড়ী ওসির মামলার বাদীনি রানীর ভয়ঙ্কর প্রতারণার গল্প!

যাত্রাবাড়ী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার বাদী রানীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্র বলছে,যাত্রাবাড়ী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আমাদের দিন তদন্তে বেরিয়ে আসছে এই নারীর ভয়ঙ্কর সব প্রতারণার গল্প।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তিনি কখনো রানী কখনো পলি আবার কখনো কখনো সাথী আক্তার বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন।আবার কখনো পরিচয় দেন নিজেকে পুলিশ অফিসার বলে। মূলত তিনি জড়িত মাদক ও দেহ ব্যবসার সাথে। স্বার্থে বাধা দিলেই মামলা তার হাতিয়ার।
এর পূর্বে ঐ নারী সাবেক যাত্রাবাড়ী থানার (ভারপ্রাপ্ত) ওসি কাজী ওয়াজেদসহ একাধিক ওসির বিরুদ্ধে মামলা করেন এই নারী। আর এজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন কোর্টকে । পরবর্তী মোটা অংকের টাকার বিনিয়ম মামলা উঠিয়ে নেন এই প্রতারক নারী।
স্থানীরা জানিয়েছেন, সে একজন ভয়ঙ্কর প্রতারক।এটা তার ব্যবসা । তার রয়েছে প্রতারক সিন্ডিকেট , তাদের কাজ মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া।
এসম্পর্কে সোহেল ও মিরাজ আলী বলেন, এই প্রতারক মহিলা বাসায় ওঠে একমাসের ভাড়াও দেয় নাই , যখন ভাড়ার জন্য চাপ দিয়েছি । তখনই আমাদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন, পুলিশ এসে তদন্ত করে আমাদের দোষ না পেয়ে , মামলা আমলে নেয়নি থানায় । এর পর তিনি তার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কোর্টে মামলা করেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঐ নারী ১০-১২ বছর ধরে প্রতারণার সাথে জড়িত। এই জন্য কথিত স্বামী কবির প্রতারণায় তাকে সহায়তা করে থাকেন।
আরো জানা যায়, সোহেল ও মিরাজ আলীর বাড়িতে প্রতারক রানী (২৭) তার পরিবারসহ গত তিন মাস ধরে ভাড়া থাকতেন। বাড়িতে ওঠে তিনি এযাবত কোন ভাড়া পরিশোধ করেনি। যখন সোহেল ও মিরাজ আলী ভাড়া জন্য চাপ প্রয়োগ করেন, তখন সুযোগ বুঝে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা অভিযোগ করেন যাত্রাবাড়ী থানায়।
থানায় অভিযোগ পেয়ে তদন্তে বাড়ি ওয়ালাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে কোন মামলা নেয়নি থানায়। ঐ মহিলা ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল ও মিরাজ আলীসহ যাত্রাবাড়ী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এজহারে লেখা আছে, আমি মামলার বাদী রানী যাত্রাবাড়ী থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মামলার ব্যাপারে কোন গুরুত্ব দেয়নি।
এসম্পর্কে যাত্রাবাড়ী থানা ওসি ( ভারপ্রাপ্ত) মাজহারুল ইসলাম বলেন, রানী নামে ঐ মহিলা আমার সাথে যোগাযোগ করার কোন চেষ্টা করেন নাই। আমার কাছে সব ডকুমেন্ট আছে। থানায় যদি এসে থাকলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আছে, আর মোবাইলে ফোন দিলে কল লিস্ট আছে।সব আমার কাছে প্রমাণসহ রেখে দিয়েছি। সময় মত আমি ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করব।
এদিকে আরো জানা যায়, এর পূর্বে এই নারীই অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে এনে সাবেক যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন।