প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে ৭ লাখ টাকার চুক্তি, ব্যাংক কর্মকর্তা রিমান্ডে

সাত লাখ টাকার বিনিময়ে পটুয়াখালীর এক অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার জন্য চুক্তি করেছিলেন ফয়সাল হোসেন (৩৪) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। সাক্ষাতের পর চুক্তির পুরো টাকা না পেয়ে তাদের এক নিকটাত্মীয়কে অপহরণ করে ধরা পড়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ফয়সালের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী আমাদের দিনকে বলেন, ‘ফয়সালকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। ’ ফয়সাল কার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো জানা যায়নি। তদন্ত শেষে বলা যাবে। ’
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আফজাল হোসেনের স্ত্রী শামসুন্নাহার গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সাত লাখ টাকার চুক্তিতে ফয়সাল এই দেখা করার সুযোগ করিয়ে দেন। প্রাথমিকভাবে তিন দফায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাও নেন ফয়সাল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর বৃহস্পতিবারই তিনি বাকি টাকার জন্য চাপ দেন এবং টাকার জন্য শামসুন্নাহারের ভাইকে জিম্মি করেন।
বিষয়টি গণভবনে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে জানান শামসুন্নাহার।
পরে তাদের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগর থানা-পুলিশকে অবহিত করে ফয়সালের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জিম্মি করার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন শামসুন্নাহার।
বৃহস্পতিবার রাতেই বিষয়টি জানার পর পুলিশ তৎপর হলে শামসুন্নাহারের ভাইকে ছেড়ে দেন ফয়সাল।
শামসুন্নাহারের স্বামী সাবেক পৌর মেয়র আফজাল স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন নেতা। বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে তিনি এলাকায় ‘পিছিয়ে আছেন’।
পাশাপাশি তিনি অসুস্থ। এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে সুদৃষ্টি পাওয়ার আশায় কিছুদিন আগে গণভবনের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ফয়সালের সঙ্গে পরিচয় হয় শামসুন্নাহারের। পরে ফয়সাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকার চুক্তি করেন।