ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


অতিদ্রুত পরীক্ষা বাতিল করে নতুন পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান


১৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৩৭

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় গ্রহণের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। 

বক্তব্যে যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান বলেন, 'অনশনকারী আক্তারের কিছু হলে সম্পূর্ণ দায় ঢাবি প্রশাসনকে নিতে হবে'।   

তারা অতিদ্রুত পরীক্ষা বাতিল করে নতুন পরীক্ষা নেয়ার আহ্বান জানান। 

এর আগে, আমরণ অনশনরত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আখতার হোসেনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধন করছেন নিজ বিভাগর শিক্ষার্থীরা।

...

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আইন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই মানববন্ধনে অংশ নেন। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় অনশনরত শিক্ষার্থীকে দেখতে আসেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

এসময় আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রতিবাদে একটা ছেলে বসে আছে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অসংবেদনশীল হয়ে গেছি যে তাকে দেখতে পর্যন্ত কেউ আসেনি, এর চেয়ে দূর্ভাগ্যজনক আর কি হতে পারে।

.

মানববন্ধনে অংশ নেয়া আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসাইন সিফাত বলেন, আমরা আমাদের বন্ধু আখতারের পাশে দাঁড়িয়েছি। তার চার ধফা দাবির বাস্তবায়ন চাই। দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, এর আগে যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে তাদের সাথে আমরা ক্লাস করবো না। ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল করা না হলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারি।

মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

ছাত্রের পাশে শিক্ষক আসিফ নজরুল 

এদিকে অনশনকারী শিক্ষার্থী আখতার হোসেন প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদে প্রশাসনের নিকট চারটি দাবি জানিয়েছেন। তার দাবিগুলো হলো, 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিল, পুনরায় পরীক্ষা নেয়া, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিগত বছরে যারা জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা।

এর আগে গতকাল রাতে ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশন পালনরত আখতার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে দুর্বলতার কারণে তিনি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। এসময় তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন আখতারের প্রতি সমর্থন জানালেও তাকে দেখতে বা তার দাবি সম্পর্কে কথা বলতে যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ।

বিক্ষোভ