ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৪ই আগস্ট ২০২৫, ৩১শে শ্রাবণ ১৪৩২


জবি কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের উদ্যোগে ৩০টি সুতরা প্রদান


প্রকাশিত:
১৪ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২১

ছবি : সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে মুসল্লিদের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধানে এগিয়ে এলেন ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে মসজিদের জন্য প্রায় ৩০টি সুতরা উপহার দেওয়া হয়েছে, যা নামাজের সময় মুসল্লিদের মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল এবং সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের নির্দেশনায় এই মহৎ কাজটি সম্পন্ন করা হয়।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র কেন্দ্রীয় মসজিদটিতে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদে সুতরার মতো একটি মৌলিক উপকরণের অভাব ছিল। এর ফলে নামাজের সময় মুসল্লিদের সামনে দিয়ে অনেকে চলাচল করায় মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটত, যা ইসলামি শরিয়তের পরিপন্থী। বিষয়টি নিয়ে মসজিদের ইমাম, নিয়মিত মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হলেও কোনো কার্যকর সমাধান হয়নি। অবশেষে এই সমস্যার সমাধানে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেন ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার।

এ প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার বলেন, “মসজিদ আমাদের সবার জন্য পবিত্র স্থান। এখানে যারা নামাজ আদায় করেন, তাদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেটাই আমাদের দায়িত্ব। সুতরার অভাব অনেকদিন ধরে ছিল, তাই আমি মনে করেছি এই ছোট উদ্যোগ হয়তো মুসল্লিদের উপকারে আসবে।”

শাহরিয়ারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “ছাত্রদল শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেই নয়, সামাজিক ও ধর্মীয় কল্যাণমূলক কাজেও সক্রিয়। শাহরিয়ারের এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই সবাই এমন উদ্যোগে উৎসাহিত হোক।”

সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “মসজিদে সুতরার অভাব ছিল একটি বাস্তব সমস্যা। শাহরিয়ার ভাইয়ের এই অবদান মুসল্লিদের জন্য বড় উপকারে আসবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কল্যাণমূলক কাজে পাশে থাকব, সেটা ধর্মীয় হোক বা সামাজিক।”

এই উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। এক শিক্ষার্থী বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা নামাজ আদায় করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, জবির একটি মাত্র মসজিদ হলেও কোনো সুতরা না থাকায় অনেক সময় অসুবিধার সৃষ্টি হতো, বিশেষ করে প্রতিদিন জোহরের নামাজ এবং জুমার দিন। আমি ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার ভাইকে এমন একটি মহৎ কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাই।”