নিউ জিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

অসাধারণ ব্যাট চালালেন মোহাম্মদ মিঠুন। অষ্টম উইকেট জুটিতে তাকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তাতে নেপিয়ারে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মোটামুটি একটি সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
ম্যাকলিন পার্কে নির্ধারিত ৫০ ওভারের সাত বল আগেই ২৩২ রানে গুঁড়িয়ে যায় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। দলীয় সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান মিঠুনের। পাঁচ নম্বরে নামা এই ব্যাটসম্যান একাই করেছেন ৬২ রান।
কিউই বোলারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যের সামনে ৪২ রানেই টপ-অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুই অঙ্ক স্পর্শ করার আগেই ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল, লিটস দাস ও চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মুশফিকুর রহিম।
দাপটের সঙ্গে ব্যাট চালাচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ২২ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩০ করা এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ম্যাট হেনরির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে।
উইকেটে মাটি কামড়ে পড়ে আছেন মিঠুন। ওয়ানডেতে তৃতীয় অর্ধশতক হাঁকানোর পথে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ২৯, সাব্বির রহমানের সঙ্গে ২৩ ও মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে গড়েন ৩৭ রানের জুটি।
আর অষ্টম উইকেটে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে কার্যকরী গড়েন ৮৪ রানের কার্যকরী এক জুটি। ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই জুটিকে থামান বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার। তার বলে সুইপ করতে গিয়ে সাইফউদ্দিন ক্যাচ দেন মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা মার্টিন গাপটিলের হাতে। প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ৫৮ বলে তিন চারে ৪১ রান করেন বাংলাদেশ দলের এই পেস-অলরাউন্ডার।
সাইফের উইকেট ছাড়ার পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি মিঠুন। দলীয় ২২৯ রানে লকি ফার্গুসনের পেসে পরাজয় মানেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বোল্ড হওয়ার আগে ৯০ বলে করেন ৬২ রান। তার ইনিংসটিতে রয়েছে পাঁচটি চারের মার।
মিঠুন উইকেট ছাড়ার পর তিনরানের মধ্যে বাকি উইকেটটি হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও স্যান্টনার। দুটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও ফার্গুসন।