ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে মিতুর সঙ্গে হাতাহাতিও হয় ডা. আকাশের


২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৫০

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ১২:২৭

আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে মিতুর সঙ্গে হাতাহাতিও হয় ডা. আকাশের

স্ত্রীর পরকিয়া সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে ওপারে চলে গেলেন স্বামী চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ। চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ আত্মহত্যার আগে ফেইসবুকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের যেসব অভিযোগ করে গেছেন, তা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আকাশের স্ত্রী ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান বলেছেন, আত্মহত্যার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই দম্পতির মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল।


ডা. তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিতু কিছু কিছু বিষয় আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আবার কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মিতু পারিবারিক কলহ, দাম্পত্য জীবন এবং ডা. আকাশের আত্মহত্যার বিষয়ে তারও কিছু বলার আছে বলে জানান। আমরা তার বক্তব্য আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড করব। মিতু এটা নিশ্চিত করেছেন, তার স্বামী আকাশ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে কেউ হত্যা করেনি।


এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরের নন্দনকানন এলাকায় তানজিলা হক চৌধুরী মিতুকে তার খালাতো ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

গ্রেফতারের পর তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমানত শাহ (র.) মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ।


পুলিশ এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তানজিলা হক চৌধুরী মিতু, তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের ব্যাপারে যেসব অভিযোগ করেছেন সেসব বিষয় যাচাই চলছে। আকাশের মৃত্যুর পেছনে যদি তাদের কারও ইন্ধন থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে মোস্তফা মোরশেদ আকাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুলিশ জব্দ করেছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার ভোর থেকে আকাশ তার ফেসবুকে স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ও বিভিন্ন ছবি সম্বলিত যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন সেটি ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি আমাদের তদন্তের বিষয়। ডিলিট হলেও সেই স্ট্যাটাস রিকোভার করা সম্ভব।