ঢাকা শুক্রবার, ১৮ই এপ্রিল ২০২৫, ৬ই বৈশাখ ১৪৩২


২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের আদেশ আজ


১০ এপ্রিল ২০২৫ ১২:২১

আপডেট:
১৮ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৩

ফাইল ছবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২৩৯ জন তৎকালীন বিডিআর সদস্যের জামিন আদেশ আজ।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালতে এ আদেশ ঘোষণার কথা রয়েছে।

এর আগে, ১৭ মার্চ জামিনের আদেশ ও সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২৩৯ জনের মধ্যে ১৫০ জনেরও বেশি আসামির জামিনের আবেদন একাধিকবার পড়েছে। এছাড়া মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন দণ্ডিতদের জামিন চাওয়ায় মামলার নথিপত্র যাচাই-বাছাই করতে আদালতের কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তবে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জামিনের শুনানি করেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ওই দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর আবু সাঈদ খান। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ মার্চ বিডিআর হত্যা মামলায় সাজার মেয়াদ পূর্ণ করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের শুনানি শেষ হয়। পরে বিকেলে আদেশের জন্য রাখলেও ওই দিন দেওয়া হয়নি। এরপর রোববার যাচাই-বাছাই শেষে জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানানো হয়েছিল। তবে সেদিন না দিয়ে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এভাবে তৃতীয়বার পিছিয়ে আজ দিন ধার্য করেন আদালত।

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি জামিন পেয়েছেন ১৭৮ জন। পরে ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে যায়।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। এতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়। ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।

অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস ও সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝ পথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে মামলার বিচার ঝুলে যায়।