ঢাকা সোমবার, ২৫শে আগস্ট ২০২৫, ১০ই ভাদ্র ১৪৩২


৪ কোটি টাকায় সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠ বিক্রি, তদন্তে দুদক


প্রকাশিত:
২৪ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৫৭

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বিক্রির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাঠে দুদক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বিক্রির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে মাঠ বিক্রির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল।

জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সীমানার ভেতরের খেলার মাঠটির আয়তন প্রায় সাড়ে ১৫ কাঠা। সম্প্রতি ভূমি অফিসে মাঠটি ক্রয়সূত্রে নামজারির আবেদন করে একটি পক্ষ। এর পরই মূলত বিদ্যালয়ের মাঠ বিক্রির বিষয়টি প্রকাশ পায়। পরে এটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নথিপত্রে উঠে আসে, ২০০৬ সালে মাঠটি ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, জালিয়াতির মাধ্যমে নথি সৃজন করে সরকারি বিদ্যালয়ের মাঠটি দখলের চেষ্টা হচ্ছে। এতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, ভূমি অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের একাধিক কর্মকর্তা জড়িত।

দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ হলে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এর ভিত্তিতে দুদকের একটি টিম খাস্তগীর স্কুলে গিয়ে তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক কর্মকর্তা সায়েদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের জায়গা কেনা-বেচা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এটি তদন্তে আমরা বিদ্যালয়ে গিয়েছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা নথিপত্র যাচাই-বাচাই করা হয়েছে। ভূমি অফিস, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসেও আমরা যাব।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম অঞ্চলে নারীশিক্ষার প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান ডা. খাস্তগীর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। অগ্নিযুগের বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ দেশবরেণ্য অনেকে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিলেন।

দুদকের অভিযানের পর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘খেলার মাঠটির মালিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মাঠটি আমাদের বিদ্যালয়ের ভোগ-দখলে আছে। কে বা কারা এটি বিক্রি করা হয়েছে মর্মে নামজারির আবেদন করেছে। আমরা প্রশাসনের সহায়তা প্রত্যাশা করছি। বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে অবগত আছেন।’