অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা চায় হাইকোর্ট

প্রয়োজনে মাদকবিরোধী অভিযানের মতো মানহীন অনিরাপদ খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করতে বলেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ একথা বলেছে।
এসময় ৫২ প্রতিষ্ঠানের মানহীন ৫২টি খাদ্যপণ্য বাজার থেকে দ্রুত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর মধ্যে রুপচাঁদা, তীরের সরিষার তেল, প্রাণ ও ফ্রেশের হলুদ গুঁড়া ও বনফুলের লাচ্ছা সেমাই রয়েছে।
বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ১০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত ওই পণ্যগুলো বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় মানসম্মত ঘোষিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওই পণ্যগুলো বাজারে আসতে পারবে না বলে হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে।
আদালত আদেশে নিরাপদ খাদ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাদকবিরোধী অভিযানের মতো অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেও বলা হয়েছে।
আদালত বলেন, দরকার হলে এসব পণ্য খাবে না মানুষ। তবুও এসব অনিয়ম বরদাশত করা যায় না। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয় তার পণ্যই সেরা, আর বাজারে গেলে দেখা যায় সেটাই ভেজাল বেশি। এটা একটা প্রতারণা।
বিচারপতিদ্বয় বলেন, খাদ্য ভেজালের কারণে কিডনি ও ক্যানসার রোগ বেড়ে গেছে দেশে। আমাদের কোথাও যাওয়ার নেই। দেশে খাদ্য ভেজাল রোধে যেসব আইন আছে সেটা যথেষ্ট শক্তিশালী।
আদালত আরও বলেন, পণ্য ভেজালের রোধে বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, সবাই দায়িত্বপ্রাপ্ত। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করছেটা কী? তাদের কাজ কী? তারা সারা বছর কেন অভিযান চালায় না? সারা বছর চুপ আর রোজা আসলেই তোড়জোড়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।