ঢাকা শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১


ছিল ভাগাড়, ছাত্রলীগ নেতা সৈকতের উদ্যোগে হলো লাইব্রেরি


৪ মার্চ ২০২২ ০৪:৫৫

আপডেট:
৪ মার্চ ২০২২ ০৪:৫৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির ঠিক উল্টো পাশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩ নম্বর গেট। কয়েক মাস আগেও উদ্যানের এই প্রবেশমুখে মানুষের ভিড় জমত ভাসমান দোকানপাট ঘিরে। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোকানগুলো তুলে দেওয়ার পর সুনসান হয়ে পড়া জায়গাটি রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত হয়। সঙ্গে বাড়তে থাকে মাদকাসক্তদের উৎপাত। এ নিয়ে পথচারী ও শিক্ষার্থীরা বারবার ক্ষোভ প্রকাশের পরও জায়গাটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। দুর্গন্ধের কারণে অনেকে উদ্যানের ওই গেট ব্যবহার করাই ছেড়ে দিয়েছিলেন।

কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলেও বসে থাকেননি ঢাবির শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত। নিজ উদ্যোগে আবর্জনা পরিষ্কার করে উদ্যানের ৩ নম্বর গেটের সামনে উন্মুক্ত লাইব্রেরি খুলেছেন ডাকসুর সাবেক এই সদস্য। এর আগে করোনাকালে টানা তিন মাস ভাসমান মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে জাতিসংঘের ‘রিয়েল লাইফ হিরো’ উপাধি পেয়েছিলেন তিনি।

গতকাল ওই লাইব্রেরিতে গিয়ে দেখা যায়, ধুয়েমুছে জায়গাটি রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে। একটি ছোট সেলফে রাখা হয়েছে কিছু বই। পাতা হয়েছে চেয়ার। গাছের ডালে ঝোলানো হয়েছে সাইনবোর্ড—সেখানে লেখা, উন্মুক্ত লাইব্রেরি। চেয়ারে বসে বই পড়তে দেখা গেল কয়েকজনকে। তাঁদের মধ্যে একজন বললেন, লাইব্রেরি হওয়ায় এখানে কেউ আবর্জনা ফেলবে না। মাদকাসক্তদের উপদ্রবও থাকবে না। শিক্ষার্থীদের বই পড়ার ও আড্ডা দেওয়ার একটা ভালো জায়গা হয়েছে।

অভিনব এ লাইব্রেরি প্রসঙ্গে সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক পার্কে উন্মুক্ত লাইব্রেরি রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই এই লাইব্রেরি চালুর উদ্যোগ। লাইব্রেরিটি ২৪ ঘণ্টা উন্মুক্ত থাকবে। এই লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য কোনো আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন নেই বলেও জানালেন সৈকত। তবে কেউ বই দিতে চাইলে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে বলেও জানালেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক সৈকত।