লাখ টাকা বেতন পেতাম, পদত্যাগ করায় ড্রাইভার চলে গেছে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সদ্যবিদায়ী এই প্রসিকিউটর।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘মানুষ পদ ছেড়ে যেতে চায় না। আমি সামাজিক কাজে বেশি সময় দেওয়ার কারণে পদত্যাগ করেছি।’
পদত্যাগ করায় কোনো সমস্যায় পড়েছেন কি না, জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘আগে তো প্রসিকিউটর হিসেবে প্রায় ১ লাখ টাকা বেতন পেতাম।এখন আমি বেতন পাবো না।
আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, আগে আমাকে একটা গানম্যান দেওয়া হতো। এখন পুলিশ আমার সাথে থাকবে না।
এখানে একটা প্রভাব আছে যে, আমি রিজাইন করার দুইদিন পরেই দেখলাম, আমার ড্রাইভার সাহেব উনিও আমাকে বললেন যে, আমি...। যদিও উনি কারণ দেখিয়েছেন যে, উনার পারিবারিক সমস্যা। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, গানম্যান থাকা অবস্থায় ড্রাইভার সাহেব যে সুবিধা পেতেন গাড়ি চালানোতে, এখন মনে হয় উনি ওই সুবিধা পাবেন না।
তো এটাও একটা কারণ হতে পারে উনার চলে যাওয়ার।’
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের বিষয়ে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘কেমন করে তিনি (সাঈদ খোকন) আবার ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে চান।’
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে পদত্যাগ করেন সুমন।
বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে নিবিড়ভাবে জড়িত হয়ে যাওয়া পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রসিকিউটর পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন সুমন।
সেখানে লেখেন, ‘২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে যোগদান করি।
যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন মামলা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পরিচালনা করেছি।
ইদানিং বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে নিবিড়ভাবে জড়িত হয়ে যাওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে সময় দিতে পারছি না।
এমতাবস্থায় সরকারি কোষাগার থেকে বেতন নেওয়াকে আমি অনৈতিক বলে মনে করি। এ কারণে আমি বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’