পুলিশ-আ. লীগ হাত করে গোপনে তৎপর জামায়াত

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল হান্নান, বোয়ালিয়া থানার একাংশের আমির সিরাজুল ইসলাম এবং মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম নাশকতা মামলায় জামিন নিয়ে দিব্যি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তারা বিভিন্ন কূটকৌশল নিয়ে দল ও সংগঠন চালাচ্ছেন বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তথ্য পেয়েছে। পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন, তাদের মতোই সারা দেশে জামায়াত নেতারা দলকে সংগঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে চলছেন তারা।
পুলিশের অসাধু সদস্যদের সঙ্গেও তাদের সখ্য রয়েছে। পাশাপাশি তৎপর রয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবিরও। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে তাদের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি। এসব তথ্য পেয়ে সরকারের হাইকমান্ড পুলিশ ও র্যাবকে অনুসন্ধান করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারের হাইকমান্ডের নির্দেশে জামিনে থাকা জামায়াত-শিবিরের নেতাদের তালিকা হচ্ছে। তালিকায় প্রত্যেকের নাম, বাবার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, পেশা, দলীয় অবস্থান, নেটওয়ার্ক, অর্থের উৎস, মামলার রেকর্ডপত্র, কার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা ও কয়টিতে জামিনে আছেন তার বিবরণ রাখতে বলা হয়েছে। ঢাকার ১২৮টি ওয়ার্ড ছাড়াও রাজশাহী, চট্টগ্রাম, টেকনাফ, খুলনা, যশোর, কুমিল্লা, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেটের কয়েকটি এলাকায় জামায়াত-শিবিরের আনাগোনা বেশি। শহর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০-৪০ জন নেতাকর্মীর নাম উঠে আসছে তালিকায়।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক গত বৃহস্পতিবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরকে কোনো ধরনের তৎপরতা চালাতে দেওয়া হবে না। যারা জামিনে এলাকায় আছে তাদের নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে এবং তাদের তালিকাও করা হচ্ছে। নাশকতা মামলার পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, মেস ও মাদ্রাসাগুলো বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। জামায়াত যাতে সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য নানা কৌশল নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আমাদের কাছে তথ্য আছে, জামিনে থাকা জামায়াত-শিবিরের নেতারা গোপনে সংগঠিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে তারা এলাকায় বসবাস করছে। একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ পুলিশের সঙ্গেও তাদের সুসম্পর্ক আছে। কীভাবে দলকে চাঙ্গা রাখা যায় তা নিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীরা দফায় দফায় বৈঠকও করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, নওগাঁয় ৭ জন; পাবনায় ২২ জন; সিরাজগঞ্জে পরিকল্পনাকারী ৩, সংগঠক ৩, ইন্ধনদাতা ৪ জন; বগুড়ায় পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৭, ইন্ধনদাতা ৬ জন; রাজশাহীতে পরিকল্পনাকারী ৮, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; নাটোরে পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৪, ইন্ধনদাতা ৪ জন; জয়পুরহাটে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৪, ইন্ধনদাতা ৪ জন; চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৬ জন; খুলনায় পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৩, ইন্ধনদাতা ৪ জন; যশোরে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৬ জন; ঝিনাইদহে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; নড়াইলে পরিকল্পনাকারী ২, ইন্ধনদাতা ২ জন; কুষ্টিয়ায় পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; সাতক্ষীরায় পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৬ জন; বাগেরহাটে পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; রংপুরে পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫৩ জন; কুড়িগ্রামে পরিকল্পনাকারী ৩, সংগঠক ৬, ইন্ধনদাতা ৬ জন; গাইবান্ধায় পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৪, ইন্ধনদাতা ৯ জন; দিনাজপুরে পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; ঠাকুরগাঁওয়ে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৩, ইন্ধনদাতা ৩ জন; লালমনিরহাটে পরিকল্পনাকারী ৩, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ২ জন; নীলফামারীতে পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৪, ইন্ধনদাতা ৫ জন; চট্টগ্রামে পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৬, ইন্ধনদাতা ৭ জন; ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৮; ফেনীতে পরিকল্পনাকারী ৩, সংগঠক ৬, ইন্ধনদাতা ৭ জন; লক্ষ্মীপুরে পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৮ জন; কুমিল্লায় পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৮, ইন্ধনদাতা ৮ জন; চাঁদপুরে পরিকল্পনাকারী ২, সংগঠক ১, ইন্ধনদাতা ৩ জন; কক্সবাজারে পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৭, ইন্ধনদাতা ৯ জন; নোয়াখালীতে পরিকল্পনাকারী ৮, সংগঠক ৭, ইন্ধনদাতা ৭ জন; মানিকগঞ্জে পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৬, ইন্ধনদাতা ৮ জন; ময়মনসিংহে পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৮, ইন্ধনদাতা ৮ জন; নারায়ণগঞ্জে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; নেত্রকোনায় পরিকল্পনাকারী ১০, সংগঠক ৬, ইন্ধনদাতা ৭; শেরপুরে পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৩ জন; জামালপুরে পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৮, ইন্ধনদাতা ৫ জন; টাঙ্গাইলে পরিকল্পনাকারী ৮, সংগঠক ১৪, ইন্ধনদাতা ৬ জন; গাজীপুরে পরিকল্পনাকারী ও সংগঠক ৯ জন, ইন্ধনদাতা ৫ জন; নরসিংদীতে পরিকল্পনাকারী ১, সংগঠক ১, ইন্ধনদাতা ৩ জন; ফরিদপুরে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৫, ইন্ধনদাতা ৫ জন; বরিশালে পরিকল্পনাকারী ৫, সংগঠক ৬, ইন্ধনদাতা ৩ জন; ঝালকাঠিতে পরিকল্পনাকারী ৩, সংগঠক ৪, ইন্ধনদাতা ৩ জন; পিরোজপুরে পরিকল্পনাকারী ৩, সংগঠক ৩, ইন্ধনদাতা ৪ জন; পটুয়াখালীতে পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৩, ইন্ধনদাতা ৩ জন; ভোলায় পরিকল্পনাকারী ৪, সংগঠক ৩, ইন্ধনদাতা ৩ জন; সিলেটে পরিকল্পনাকারী ৬, সংগঠক ১০, ইন্ধনদাতা ৯ জন; মৌলভীবাজারে পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৭, ইন্ধনদাতা ৬ জন; হবিগঞ্জে পরিকল্পনাকারী ২, সংগঠক ৪, ইন্ধনদাতা ৫ জন; সুনামগঞ্জে পরিকল্পনাকারী ৭, সংগঠক ৬ ও ইন্ধনদাতা ৬ জন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মামলা মাথায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে নেতারা: উত্তর জনপদে ‘জামায়াতের দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সময়ে ‘রমরমা’ অবস্থায় থাকা জামায়াত-শিবিরকে এখন ‘রাস্তায়’ দেখা যায় না। জেলাজুড়ে হত্যা-নাশকতাসহ প্রায় দেড়শ মামলার ভারে জর্জরিত পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। এখন তারা মাঠের কর্মসূচিকে পাশ কাটিয়ে ঘরোয়া সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। জেলা জামায়াতের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র পদটিতে জামায়াত নেতারা নির্বাচিত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। বর্তমান মেয়রও জেলা জামায়াতের সাবেক আমির। এছাড়া সদর, শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলা পরিষদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সংগঠিত নাশকতার মামলায় বেকায়দায় পড়েন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের তৎকালীন এমপি আবদুল ওদুদের হাত ধরে নাশকতার বহু আসামি ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগদানেরও অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ওই সময়ে হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে কয়েকটি হত্যাকাণ্ড, কানসাট পল্লী বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা-অগ্নিসংযোগ, বিআরটিসি বাসে অগ্নিসংযোগ, ভোলাহাটের মুশরিভুজায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। ১১৭টি মামলার মধ্যে ৫-৬টি মামলা রয়েছে দ্রুত বিচার আদালতে। ৩৫ টির বেশি আছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২-এ।
এছাড়া অন্যান্য মামলা রয়েছে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ ও ৪-এ। মামলাগুলোর শীর্ষ আসামি তালিকায় রয়েছেন সাবেক এমপি জামায়াত নেতা লতিফুর রহমান, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোখলেশুর রহমান, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা কেরামত আলী, নাচোলের জামায়াত নেতা এয়াহিয়া খালেদ, গোমস্তাপুরের জামায়াত নেতা তাজেল মাস্টার, ভোলাহাটের জামায়াত নেতা গোলাম কবির।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আইনজীবী বলেন, ‘জামায়াত খুব কৌশলে এবং সাংগঠনিকভাবেই মামলাগুলোকে ফেস করছে। চলমান মামলাগুলোর প্রায় সব মামলায় জামায়াত-শিবিরের নেতারা জামিনে রয়েছেন এবং তারা প্রতিটি মামলার নির্ধারিত দিনে হাজিরা প্রদান করেন। খুব সচেতনভাবে তারা হাজিরা মিস করেন না।’
এদিকে মামলাভারে জর্জরিত জামায়াত মাঠের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে একেবারই না থাকলেও তারা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বসে নেই। ঘরোয়া সব কর্মসূচিই চলছে নিয়মমাফিক। এ বিষয়ে জামায়াতের দায়িত্বশীল কোনো নেতা কথা বলতে রাজি হননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘সরকার নানান মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছে। আমার বিরুদ্ধে চারটা মামলা ছিল সেটা ভেঙে আটটা হয়েছে। কিন্তু জামায়াত একটি আদর্শিক সংগঠন। এর সাংগঠনিক কার্যক্রম আগে ১২ মাস যেভাবে চলেছে এখনো সেভাবে চলছে। মানোন্নয়নবিষয়ক যেসব সাংগঠনিক কার্যক্রম আছে তা চালু রয়েছে। তবে দৃশ্যমান যেসব রাজনৈতিক কর্মসূচি সেগুলো হচ্ছে না, ব্যাহত হচ্ছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর জোবদুল হক বলেন, ‘মামলাগুলোর অভিযোগ প্রমাণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে এসেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। এখন মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।’
রাজশাহীতে গোপনে চলছে সাংগঠনিক তৎপরতা: দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহীতে আত্মগোপনে জামায়াত নেতারা। তবে ভেতরে ভেতরে তারা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে তারা কাজ করছেন। এরই মধ্যে মহানগরে তারা বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিও গঠন করেছেন। এছাড়া পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ১৮ নভেম্বর সকালে নগরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। জামায়াতের মহানগরীর প্রচার বিভাগের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী কোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলের পর সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে জামায়াত নেতারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণে এই সরকারের পদত্যাগ চায় জনগণ। তবে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়া কোনো নেতার নাম ওই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের ওপরের সারির প্রায় সবার নামেই রয়েছে মামলা। তবে মামলায় জামিন পেয়ে এখন মোটামুটি প্রকাশ্য এসব নেতারা। জামায়াতের স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর জামায়াত ও বিভিন্ন থানা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটির নেতৃত্বে থাকা সব নেতার বিরুদ্ধেই নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
(প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদুল হুদা অলক ও রাজশাহীর এহসান হাবিব অপু)