এখন থেকে কারারক্ষীরাও অবসরের পর আজীবন রেশন সুবিধা পাবেন

কারারক্ষীরাও এখন থেকে অবসরের পর আজীবন রেশন সুবিধা পাবেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বকশিবাজারে কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারারক্ষীদের আজীবন রেশন প্রদানের বিষয়টি সরকার নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন। এ সিদ্ধান্তের ফলে কারারক্ষীদের অবসর জীবন আরও সুরক্ষিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক জানান, বর্তমানে দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি রয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় সম্প্রতি নতুন দুটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং চারটি জেলা কারাগার চালু করা হয়েছে। এছাড়া, দাপ্তরিক কাজ আরও সহজ ও সমন্বিত করার জন্য ঢাকা বিভাগকে দুটি পৃথক বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরে লোকবল সংকট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। আইজি প্রিজন বলেন, সরকার সম্প্রতি ১ হাজার ৮৯৯টি নতুন জনবলের অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে, কারারক্ষী ও সংশ্লিষ্ট পদগুলোতে আরও ১ হাজার ৫০০ জনবল নিয়োগের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাঁদের জন্য উন্নতমানের প্যাকেটজাত রেশন সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ দিবসে খাবারের জন্য বিশেষ আর্থিক বরাদ্দও দেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য ওয়েট চার্ট সুনির্দিষ্টকরণসহ পিটি-প্যারেড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
কারা মহাপরিদর্শক আরও জানান, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণের মডিউল তৈরি করা হয়েছে। গত এক বছরে বিভিন্ন পেশাগত বিষয়ে ৬৯১ জন কারারক্ষী, ১৫০ জন প্রধান কারারক্ষী, ৬৯ জন সর্বপ্রধান কারারক্ষী, ৩০ জন সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর, এবং ৫৫ জন ডেপুটি জেলার ও জেলারগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।