ঢাকা রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫শে ভাদ্র ১৪৩১


সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত—এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ—২—এর মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভা


৭ জুন ২০২৪ ২২:৫৩

আপডেট:
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৩০

 

৭ জুন শুক্রবার কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন—এর মুক্তিযোদ্ধা হল—এ কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত—এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ—২—এর মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ এম এ মুহিত ট্রাস্টের আয়োজনে, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি।

উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের একজন রেকর্ডধারী অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে টানা ১০ বার সহ মোট ১২ বার জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেছেন। আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩০ এপ্রিল ২০২২ মৃত্যুবরণ করেন। ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ছিল তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

স্মরণসভা ও স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। এছাড়া বিশেষ আলোচক ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম এ মান্নান এমপি, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।

প্রধান অতিথি বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ভাই সত্যিই একজন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে তিনি দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছেন তা অবিস্মরণীয়।আপনারা দেখে থাকবেন তার উত্থাপিত বাজেটের পর দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়েনি।

বিশেষ অতিথি বলেন, আবুল মাল আবদুল মুহিত সাহেব দেশ এবং দেশের মানুষকে অনেক ভালোবাসতেন। সিলেটের প্রত্যেকটি উন্নয়নমূলক কাজে তার অবদান অনস্বীকার্য। সেই সাথে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।

এম এ মান্নান এমপি বলেন, মুহিত ভাই যেমন একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন সেই সাথে তিনি ছিলেন একজন ভালো সংগঠক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ। তার গুনগুলোকে অনুসরণ করে আমরাও দেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারি।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেন, মানুষের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবেদিত প্রাণ। আর সেই কল্যাণের জন্য কী কী করা উচিত মুহিত ভাই সেটি ভালোভাবে জানতেন। এই দুই জনের একাত্নতার ফলে আমাদের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী উন্নতি হয়েছে। স্বল্প আয়ের দেশ থেকে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি।

এছাড়াও আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিতের সহোদরা জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ শাহলা খাতুন, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও স্বনামধন্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাবেক মুখ্য সচিব ড. আব্দুল করিম, সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা আনোয়ার আলম চৌধুরী পারভেজ, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, সাবেক অতিরিক্ত সচিব, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সহ—সভাপতি জালাল আহমদ।

শাহজাহান শিকদার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ এম এ মুহিত ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত স্মারকগ্রন্থ—২ ও বাংলাদেশ বিচিত্রার সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদ এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী শীপা হাফিজা।

এছাড়া স্মরণ সভা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটিকে অলংকৃত করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট ড. মশিউর মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশিদা হক কণিকা, সংগঠনের আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য সৈয়দ আইনুল হক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করিম শানুসহ আবুল মাল আবদুল মুহিতের সুহৃদ, স্বজন, রাজনৈতিক সহকর্মীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পরিশেষে বীর মুক্তযোদ্ধা ড. আহমদ আল কবির উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত—এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারকগ্রন্থ—২—এর মোড়ক উন্মোচন ও স্মরণসভা