ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫, ১৭ই শ্রাবণ ১৪৩২


অফিস আদেশ জারি

বদলে গেল জবির বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম


প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০২৫ ১৭:২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়েছে জবির একমাত্র এই ছাত্রী হলের নাম।

আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করে নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

শুরুতে এই হলের নাম ছিল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর এটি উদ্বোধন করা হয়। ২০২৪ সালের ১৩ মে হলের নাম পরিবর্তন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল রাখা হয়।

এ বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হলের ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক খুলে ফেলা হয়।

ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী কে

নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজ সেবক ও কবি। ১৮৩৪ সালে কুমিল্লার লাকসামে পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার বংশে জন্ম হয় তাঁর।

জমিদারি লাভের আগেই নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৭৩ সালে নারীশিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে কুমিল্লায় একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী।

এটি উপমহাদেশে বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত মেয়েদের প্রাচীন স্কুলগুলোর একটি। পরে এটি কলেজে রূপান্তরিত হয়, যার নাম হয় নবাব ফয়জুন্নেসা কলেজ।

সে সময় সংবাদপত্র ও সাময়িকীর পৃষ্ঠপোষকতাও করেন ফয়জুন্নেসা। বান্ধব, ঢাকা প্রকাশ, মুসলমান বন্ধু, সুধাকর, ইসলাম প্রচারকের মতো বাংলা পত্রপত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা লাভ করেছিল।

সাহিত্যিক হিসেবেও ফয়জুন্নেসার পরিচিতি আছে। ১৮৭৬ সালে তাঁর রূপজালাল গ্রন্থটি রূপকের আশ্রয়ে লেখা আত্মজীবনীমূলক রচনা।

১৯০৩ সালে পশ্চিমগাঁও গ্রামেই মৃত্যু হয় তাঁর। ২০০৪ সালে ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীকে একুশে পদক (মরণোত্তর) দেওয়া হয়।