১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইউজিসি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। প্রতিবছর শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আয় ও দুর্নীতি। নেই আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও হিসাব-নিকাশ। আইনের তোয়াক্কা না করে নানা কৌশলে বিপুল অর্থ লুটছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের (বিওটি) সদস্যরা। স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর না করা, অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নানা কারণে ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তদারক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
এ বিষয়ে ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম নিয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম। সেই প্রতিবেদনের আলোকে ইউজিসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ইউজিসির একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর না করা,শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অমান্য করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা, আর্টস ফ্যাকাল্টিতে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ডিন নিয়োগ দেওয়া, একই ব্যক্তি ডিন এবং বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ইউজিসির এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী অভিযোগ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা চেয়েছিলাম শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিক। তবে তারা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পূর্ণ কমিশনের সভায় অভিযোগ ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও জানান, একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ একেক রকম। ফলে সবার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার হতে পারে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও কিছুদিন সময় বেধে দেওয়া হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে না পারলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব ( বিশ্ববিদ্যালয়-১) মোছা. রোখছানা বেগম বলেন, ১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের বিষয়ে ইউজিসি আমাদের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছিল। প্রতিবেদনের আলোকে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছি।’