ঢাকা সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫, ১০ই আষাঢ় ১৪৩২


মন্ত্রণালয়ের ডাকে সচিবালয়ে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা


২৩ জুন ২০২৫ ১২:১৩

আপডেট:
২৩ জুন ২০২৫ ১৮:১৭

ছবি : সংগৃহীত

মন্ত্রণালয়ের ডাকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগমের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে গেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

তাদের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কিৎসক কামরুল আলম আছেন।

সচিবালয়ে যাওয়ার আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুল আবেদীন তানভীর বলেন, সোমবার মেডিকেল কলেজের পাঁচ জন ছেলে এবং দুজন মেয়ে শিক্ষার্থী মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছেন। আমাদের শিক্ষার্থীদের চাওয়া ছিল উপদেষ্টা এসে আমাদের হোস্টেলের অবস্থা দেখবেন, অথবা আমরা উনার সঙ্গে দেখা করে আমাদের অবস্থা তুলে ধরব। মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের প্রিন্সিপাল স্যারের মাধ্যমে আমাকে যেতে বলা হয়েছে। এ কারণে আমাদের একটি দল সেখানে যাচ্ছে।

তৌহিদুল আবেদীন তানভীর বলেন, উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর চলমান কর্মসূচি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা। আমরা উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী করণীয় ঠিক করব। এটি আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা।

তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১. নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস করতে হবে।

২. ছাত্রাবাস নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করতে হবে।

৪. আবাসন ও অ্যাকাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন করতে হবে ও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

৫. সব প্রকল্প ও কার্যক্রমের অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপনের জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ঠিক করতে হবে।

আন্দোলনের মধ্যেই শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। রোববারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছাড়তে বলা হয়। শিক্ষার্থীরা হোস্টেল না ছেড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। রোববার সকালে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কলেজ প্রশাসন থেকে নিরাপদ ক্যাম্পাস ও আবাসনসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার ‘আশ্বাস না মেলায়’, আন্দোলন ‘চালিয়ে যাওয়ার’ সিদ্ধান্তে নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে হোস্টেল ‘ছাড়বেন না’ বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরতরা।

কলেজের অধ্যক্ষ চিকিৎসক মো. কামরুল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে তারা একমত। তবে এজন্য কিছুটা সময় তারা চাইছেন বলেও জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।

তিনি বলেন, ছাত্ররা একটা আশু সমাধান চায়, যে আজকেই তাদের একটা হল দিতে হবে। যেটা বাস্তবিক অর্থে সম্ভব নয়। আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। আমরা আশা করছি তারা একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরে আসবে।