মামলা করবেনা গ্রাহকরা,সময় দিতে চান ধামাকাকে!

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের) মালিক জসিম উদ্দিন চিশতিকে সময় দিতে চান গ্রাহক ও সেলাররা, তার বিরুদ্ধে কোন ধরণের মামলা মোকাদ্দমা করবেনা বলে জানান তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েববিনার এক জুম মিটিংয়ে এই সিদ্বান্ত নেন ক্রেতা-বিক্রেতাদের সংগঠন ধামাকা শপিং ডটকম সেলার বায়ার অ্যাসোসিয়েশন।
এসময় প্রায় দুইশতাধিক গ্রাহক-সেলার উপস্থিত ছিল। মিটিংয়ে ধামাকা শপিং ডটকম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের) মালিক জসিম উদ্দিন চিশতি বলেন, আমি প্রথমে ১৪ থেকে ১৫ হাজার মানুষের টাকা দিয়ে দিবো,পরবর্তী ধীরে ধীরে সবার টাকা পরিশোধ করে দিয়ে দিবো, ইনশাল্লাহ!
জসিম উদ্দিন চিশতি বাণিজ্য মন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলেন, আমি গ্রাহক ও সেলারদের টাকা ফেরত দিতে চাই, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করে দিলেই সবার টাকা টাকা ফেরত দিয়ে দিবো। তিনি এ সময় বলেন, আমার উদ্দেশ্য খারাপ না, উদ্দেশ্য খারাপ হলে ধামাকা শপিং ডটকম ক্লোজ করে দিতাম, আমার স্ব-পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। আমি ইচ্ছে করলেই আত্মগোপনে চলে যেতে পারতাম। তা না করে আমি কিন্তু ব্যবসা করতে চাচ্ছি।
জুম মিটিংয়ে যেসব সিদ্বান্ত হয়েছে,
১,ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের) মালিক জসিম উদ্দিন চিশতি খুব দ্রুত রিফান্ড শুরু করবেন।
২. প্রথমে অল্প অল্প এমাউন্টের রিফান্ড আগে দিবে,এই ভাবে ক্রমান্বয়ে বড় অর্ডার এর রিফান্ড দেওয়া হবে।
৩.আপনি কোন মাধ্যমে পেমেন্ট করতেছেন,সেইটা কোন বিষয় না,আপনার সাথে যোগাযোগ করে আপনার কাছ থেকে বিকাশ নগদ নাম্বার নিয়ে সেই মাধ্যমে রিফান্ড করা হবে।
৪. ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিং ডটকম (ইনভেরিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের) মালিক জসিম উদ্দিন চিশতি একটা লিষ্ট করেছে, যাদের অর্ডার ভ্যালু কম তাদের আগে দেওয়া হবে।
৫.ধামাকার লিষ্টটা ক্রসচেক করবে কেউ ফেইক ডাটা দিলে তার রিফান্ড বাতিল করা হবে, মানে ধরেন আপনি পান ১০০ টাকা কিন্তু আপনি ট্রকলি লিখে রাখছেন ১২০ টা এগুলো বিবেচনা করার আগেই বাদ যাবে।
৬. ক্যাশ অন ডেলিবারী (COD) ক্যাম্পেইন দিতে চেয়েছে আগামী সাপ্তাহ থেকে।
এসময় অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উনি আমাদের যে কমিটমেন্ট করেছেন সে কমিটমেন্ট অনুসারে আমাদের পণ্য বা টাকা দিয়ে দেবেন। আমরা যারা আছি, সবাই ওনাকে সময় দিতে চাই। এ বিষয়ে কিন্তু ভোক্তা অধিকারে মামলা করছি না। কারণ উনি বিজনেস করতে এসেছেন। বিজনেস করার চিন্তা আছে বলেই আমাদের কাছে সময় চেয়েছেন।