ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১


টঙ্গি থানা ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগ!


১ জানুয়ারী ২০২১ ১৯:২৩

আপডেট:
৩০ এপ্রিল ২০২৪ ০০:০৫

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদের, বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা সবার জানা৷ ছাত্র রাজনীতির এই গৌরবের ধারা স্বাধীন বাংলাদেশেও ছিল৷ কিন্তু এখন সেখানে উলটো হাওয়া।

আর সেই উল্টো পথে ধাবিত হচ্ছে কিছু সংখ্যাক ছাত্রলীগের নামধারী ছাত্রলীগ।বর্তমান ছাত্রলীগের নামধারী ছাত্রলীগদের কাজিই হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ,চাদাবাজি এমনকি অসহায় জনগনদের জিম্মি রেখে অর্থ আত্বসাত করা।তেমনি এক ঘটনা ঘটেছে টঙ্গী থানার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমানের দারা।

মোঃ সুমন,পিতা মৃতা আব্দুল খালেক শেখ,গ্রাম কুশুমদি,থানা-কাশিয়ানী,জেলা-গোপালগঞ্জ, যিনি তার ব্যবসা সংক্রান্ত ১,০৫০০০(এক লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা বি আর এন ওয়াশ ফ্যক্টরীর স্বত্বাধিকারী মোঃ বাহারউদ্দিন এর নিকট হতে পান।আর সেই সাথে কমবেশি করে কিছু কিছু করে দেনা বাবদ টাকা মোঃ সুমনের নিকট প্রদান করে আসতে থাকেন।সর্বশেষ হিসেব করে দেখা যায় যে,আরো ৫৫,০০০(পঞ্চান্ন হাজার)টাকা পাওনা হিসেবে সুমন পান।এমনকি এই অবশিষ্ট টাকা প্রদানের দিন তারিখ মোঃ বাহারউদ্দিন সুমনকে জানান।আর সেই উল্লেখিত তারিখে সুমন তার অবশিষ্ট টাকা বি আর এন ওয়াস ফ্যক্টরির মালিক হতে গ্রহন করান জন্য সাথে দুই এক জন সহকর্মী সাংবাদিকদের নিয়ে উক্ত স্থানে যান,এমনকি উক্ত স্থানে যাওয়ার পর হতে মো; বাহারউদ্দিনের কথাবার্তায় সন্দেহ প্রকাশ পায়।মোঃ বাহার উদ্দিন তার মুঠো ফোন হতে বিভিন্ন লোকদের খভর দিতে থাকেন এই মর্মে যে,যাদের আসার কথা তারা আসছেন।

তার এই সকল কথাকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে উক্ত স্থানে মোঃ সুমন তার সহযোগীদের নিয়ে বসে থাকেন।অথচ এক পর্যায় উক্ত ফ্যক্টরীর ভিতরের পরিবেশ ঘোলাটে মনে হলে বাহিরে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় টঙ্গি থানার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান বাবু সহ নাইম,দিদার,নিজাম এবং আরো অজ্ঞাত ১২/১৫ জন লোক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই জামার কলার ধরে এলোপাতারি ভাবে মারধর শুরু করে দেয় করে এবং সাথে আমার ভাগ্নে সাংবাদিক মোঃ রাজীব সরদার’কে আলাদা ভাবে উঠিয়ে নিয়ে যায় মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে,কিন্তু অনেক জোরাজুরির পর ব্যর্থ হয়ে তার নিকট থাকা নগদ অর্থ,মোবাইল ফোন এবং তথ্যবহুল একটি মেমরি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে আমাদের দুজনকেই(আমি সুমন ও ভাগ্না রাজীব সরদার)এই সকল বিষয় নিয়ে কখনো যদি আবার পাওনা টাকা নেয়ার উদ্দ্যেশ্যে উক্ত ফ্যক্টরীতে যাই তাহলে একেবারে জানে মেরে ফেরার হুমকি প্রদান করেন।

এই ব্যপারে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা স্বার্থে টংগি থানায় একটি অভীযোগ দায়ের করি।

পাশাপাশি উক্ত আহত দুই ব্যক্তির নিকট হতে আরো কিছু জানতে চাইলে তারা বলে উঠেন যে,এই মশিউর রহমান বাবু উক্ত থানার আওতাধীন সকল এলাকায় বিভিন্ন ধরনের চাদাবাজি,সন্ত্রাসী করমকান্ড,মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট চাঁদা গ্রহন সহ নানান রকমের অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত আছেন।

তাদের মতো এই সকল পকেটভারী ছাত্রলীগ নামধারী ছাত্রলীগের পদবি বিক্রি করে সরকারের যেমন অনেক কষ্টে অর্জিত খ্যাতি,সুনাম নষ্ট করে আসছেন,তেমনি দেশের আপামর সাধারন খেটে খাওয়া জনগনদের চরম ভোগান্তির কারন হয়ে দারিয়েছেন।

আজ এই সকল ছাত্রলীগের পক্ষ হতে জনগন মুক্তি চায় বলে উক্ত আহত মোঃ সুমন ও তার ভাগ্না মোঃ রাজীব সরদার তাদের মনের ক্ষিপ্ত বাসনা প্রকাশ সহিত মুল্যবান মতামত প্রকাশ করেন।এই দেশে শেখ মুজিবীয় ছাত্ররাজনীতি চলমান থাকার আশা ও ব্যক্ত করেন।